বাবুল হক, মালদহ: অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও এক শিশুর মৃত্যু হল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এনিয়ে চার দিনে প্রাণ হারাল মোট ৬টি শিশু। শুক্রবার আরও ৫৭ জন শিশু জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Maldah Medical College Hospital) ভরতি হয়েছে। আগে থেকে চিকিৎসা চলছিল ১২৪ জন শিশুর। ফলে মালদহ মেডিক্যালে অজানা জ্বরে আক্রান্ত মোট ১৮১ জন শিশু ভরতি রয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়।
শুক্রবার জানা যায়, ঝাড়খণ্ড থেকে আসা সাত মাসের এক শিশুকন্যা এবং মানিকচকের ভুতনি চরের ছয় মাসের এক শিশুপুত্র মারা গিয়েছে। আর শনিবার ভোররাতে মারা যায় কালিয়া চকের পাঁচ মাসের নাজিমা খাতুন। কী কারণে মালদহে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, সেবিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আক্রান্ত শিশুদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আক্রান্ত শিশুদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পুজো সেরে ফেরার সময় দুর্ঘটনা, ছেলে সামনেই জলের স্রোতে ভেসে গেলেন পুরোহিত]
শুক্রবার বিকেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে দু’দফায় বৈঠক সেরে কলকাতায় লালারসের নমুনা পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়। এই জ্বর করোনার (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউ কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতেই কি লালারসের নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত? অধ্যক্ষ বলেন, “জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভরতি হয়ে মৃত্যু হয়েছে শিশুদের। ভাইরাল জ্বর নাকি ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর, তা অনুসন্ধান না করে এখনই বলা যাবে না। নিউমোনিয়াও হতে পারে। তবে তৃতীয় ঢেউও সন্দেহের বাইরে নয়। আমরা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে সোয়াব পাঠাচ্ছি। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।”
তবে রাজ্য থেকে উত্তরবঙ্গে পাঠানো স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষজ্ঞ দল মালদহে আসছে কি না, সে বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও খবর নেই বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়।