সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হলিউডি কমেডি ছবিতে ক্বচিৎ এমন চিত্রনাট্য দেখা যায়!
বাবার সঙ্গে আলাপ করাতে ছেলে তার গার্লফ্রেন্ডকে বাড়িতে নিয়ে এল৷ বাবা পড়ে গেল সেই মেয়ের প্রেমে৷ তারপর ছুতোনাতায় ছেলেকে বাড়ি থেকে দূর করে বাবা তারই গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করে নিল৷ বাস্তবেও এমনটা ঘটে না, তা আর হলফ করে বলার উপায় থাকল কই?
করাচির ষাটোর্ধ্ব এক রাজনীতিক, যিনি আবার জনপ্রতিনিধিও, এমনটাই ঘটিয়েছেন৷ যুবক ছেলের গার্লফ্রেন্ডকেই বিয়ে করে ফেলেছেন৷
খবরটা চাউর হয়নি৷ আর চাউর না হওয়ার কারণেই এই মুহূর্তে ‘খবর’ হয়ে গিয়েছে সেটি৷ পাকিস্তানের রাজনীতিকদের চারিত্রিক দূষণ বোঝাতে গিয়ে এই ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন সে দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মির৷
ঘটনাটি একটু খোলসা করে বলা যাক৷
দিনকয়েক আগে সাংবাদিক হামিদ মির পাকিস্তানের একটি জনপ্রিয় টিভি শো-তে গিয়েছিলেন৷ সেখানেই বোমা ফাটিয়েছেন তিনি৷ নিজের দেশের কেলেঙ্কারির কথা বলতে গিয়ে হামিদ বলেন, ”আমাদের সংবাদমাধ্যমে বেশিরভাগ খবরই হয় সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি নিয়ে৷ কিন্তু আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের নোংরামো অনেক গভীরে৷” এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেমন ক’মাস আগে দেশের এক জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ৬০ বছর বয়সে তাঁর ছেলের গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করলেন৷ ছেলে তার বাবার সঙ্গে গার্লফ্রেন্ডকে পরিচয় করাতে এনেছিল৷ তখনই না কি ছেলের গার্লফ্রেন্ডকে পছন্দ হয়ে যায় সেই প্রবীণ রাজনীতিকের৷ এর পর ছেলেকে বকাঝকা করে সম্পর্কে ইতি টেনে, মাস ছয়েক পর ছেলের সেই গার্লফ্রেন্ডকেই বিয়ে করে নেন৷
হামিদ অবশ্য সেই রাজনীতিকের নাম বলেননি৷ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে ইঙ্গিত করা হয়েছে ওই রাজনীতিক না কি করাচির!
অন্য কেউ নয়, সাংবাদিক হামিদ মির এই দাবি করায় বিষয়টি অন্য গুরুত্ব পেয়েছে৷ জিও টিভিতে তাঁর ‘ক্যাপিটাল টক’–রাজনৈতিক টক শো অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়৷ ভারত বা অন্য কোনও দেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তা খবর হয়৷ কিন্তু সত্যিই পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা হয় না৷
The post ষাটোর্ধ্ব পাক নেতার বিয়ে ছেলের বান্ধবীকে appeared first on Sangbad Pratidin.