সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণেতে বুরারি কাণ্ডের ছায়া। একই পরিবারের সাতজন সদস্যদের দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল পুণেতে। ভিমা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রথমে চারটি এবং পরে তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার এসপি আনন্দ ভাটে জানান, গত ১৮ থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে পুণের দোন্ড এলাকার ভিমা নদী থেকে চারটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। বাকি দেহগুলির খোঁজে তল্লাশি চলছিল। অবশেষে এদিন সকালে বাকি তিনটি দেহর খোঁজ মেলে। মৃতদের কল ডেটা খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, সাতজন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রস্রাব কাণ্ডে এয়ার ইন্ডিয়াকে জরিমানা, মদ্যপ যাত্রীদের দুর্ব্যবহার রুখতে নয়া নিয়ম বিমান সংস্থায়]
তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, প্রত্যেকে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। যদিও সবদিক খতিয়ে দেখে আরও কিছু তথ্য হাতে আসে পুলিশের। যার ভিত্তিতে প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে পাঁচজনকে আটক করে পুণে রুরাল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কিছু তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, পরিবারের একজন সদস্য এখনও জীবিত আছেন। বাড়ির মহিলা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। লোকলজ্জার ভয়ে ওই পরিবার মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে চেয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি, অপমানের হাত থেকে রক্ষা পেতেই হয়তো পরিবারের সদস্যরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। যদিও মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যুতে এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।