শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ইসিএলের খোলামুখ খনিতে ধস নেমে বিপত্তি। পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ এলাকায় ধসে নিখোঁজ অন্তত ৭। তাঁদের মধ্যে মাত্র একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও সূত্রের খবর, সাতজনের দেহই মিলেছে। তবে পুলিশের কাছে সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই। এদিকে দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে দক্ষিণ আসানসোলের রানিগঞ্জের কুনুস্তরিয়ার নারায়ণকুড়ি এলাকায় পৌঁছে যান বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। রাতভর খোলামুখ খনির কাছে ধরনা দেন তিনি।
রানিগঞ্জের কুনুস্তরিয়ার নারায়ণকুড়ি এলাকায় ইসিএলের খোলামুখ খনি রয়েছে। যদিও সেখান থেকে কয়লা উত্তোলনের দায়িত্বে ছিল এক বেসরকারি সংস্থা। সূত্রের খবর, নিয়মিত কয়লা উত্তোলন হত না। কখনও কয়লা তোলা হত, কখনও তা বন্ধ থাকত। অন্যান্য সময় এলাকার বাসিন্দারা সেখানে ঢুকে কয়লা ‘সংগ্রহ’ করত। বুধবার দুপুরে অন্তত সাতজন স্থানীয় বাসিন্দা কয়লা তুলতে ঢোকে। এর পরই খনিতে ধস নামে। আটকে পড়েন তাঁরা। এদিন ভোর পর্যন্ত একজনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গোপন সূত্রের খবর, বাকি ছজনের দেহ পাওয়া গেলেও তার খূবর পুলিশ পর্যন্ত পৌঁছয়নি।
[আরও পড়ুন: হাতে মদের বোতল ও ছুরি, মেয়েদের স্কুলের সামনে হাজির দশম শ্রেণির পড়ুয়া]
এদিকে রাতে ইসিএল, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নিলেও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। দুর্গতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান তিনি। রাতে খনি এলাকায় পৌঁছে যান। সেখানে রাতভর ধরনা দেন তিনি। বিধায়কের কথায়, “দীর্ঘদিন ধরে কয়লা চুরি চলছিল। সেকথা কী জানত না ইসিএল, পুলিশ? কাউকে ছেড়ে কথা বলব না আমরা।” এলাকার বাম সাংসদ তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, “এভাবে বহু খোলমুখ খনি ফেলে রেখেছে। যেখানে চুরি করতে গিয়ে বহু মানুষ চাপা পড়ে মারা যাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: হাতে মদের বোতল ও ছুরি, মেয়েদের স্কুলের সামনে হাজির দশম শ্রেণির পড়ুয়া]