নন্দন দত্ত, সিউড়ি: 'পরকীয়া' নিয়ে পারিবারিক অশান্তি থামাতে গিয়ে বেধড়ক মার খেলেন পুলিশ কর্মীরা। প্রহৃত স্থানীয় বাসিন্দারাও। জখম মোট ১০ জন। তাদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের(Birbhum) মল্লারপুর থানার পাথাই গ্রামে।
মল্লারপুর থানার পাথাই গ্রামের মাল পাড়ায় ৮ দিন আগে পল্লবীর সঙ্গে বিয়ে হয় প্রদ্যুত মালের। তার পরেও তিনি পাশের পাড়ার বাসিন্দা মায়া মালকে বিয়ে করতে চান। সোমবার টোটোতে করে বাড়ি ফেরার পথে তিনি মায়াকে কুপ্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ। তার সঙ্গে মায়ার ছবি পোস্ট করেন। সে নিয়ে বচসা শুরু হয়। বুধবার মায়া তাঁর স্বামীকে নিয়ে বিষয়টির মীমাংসা করতে প্রদ্যুতের বাড়ি যান। তখনই প্রদ্যুত জানান মায়ার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু পরক্ষণেই তিনি দাবি করেন, তিনি মায়াকে বিয়ে করতে চান। কথা শুনে তাঁর বাড়িতে দাঁড়িয়েই সবার সামনে প্রদ্যুতকে সপাটে চড় কষান মায়া। দুপক্ষই মল্লারপুর থানায় অভিযোগ করে।
[আরও পড়ুন: সিপিএমই চায়নি ছোট দল সংসদে যাক! জোট ‘ঘেঁটে’ বিস্ফোরক নওশাদ]
বদলা নিতে বৃহস্পতিবার সকালে মায়ার বাড়িতে হাজির হয় প্রদ্যুতের লোকজন। হাজির হয় পুলিশও। দুপক্ষকে থামাতে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। তাতে তিন এএসআই, ৪ কনস্টেবল জখম হন। একজনের মাথা ফাটে। দুজনের হাতে কোমরে গুরুতর চোট লাগে। তিন গ্রামবাসীও জখম হন। তাঁদের মল্লারপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর জখম মায়া মালও। তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রদ্যুত ঘটনার পর থেকে ঘরছাড়া। চার কনেস্টেবল হবে। এএসআই জগন্নাথ ঘোষের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ম
জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, "কেন এমন হল, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।" মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে গ্রামে বিশাল পুলিশবাহিনী তল্লাশি চালাচ্ছে।