সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেনের (Russian-Ukraine War) একাধিক শান্তি বৈঠকের পরেও যুদ্ধ অব্যাহত। একমাস অতিক্রান্ত যুদ্ধে স্বভাবতই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে চলেছে। এবার জানা গেল, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে ৭ জন রুশ সেনাকর্তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও সংখ্যাটা আরও বেশি বলেই দাবি পশ্চিমের বিশেষজ্ঞদের।
সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে লেফট্যানেন্ট জেনারেল ইয়াকভ রেজানস্টেভের। তিনি রাশিয়ার ৪৯তম কম্বাইনড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও সপ্তাহের শুরুতে জেনারেল ভ্লাইস্লভ ইয়োরশোভের মৃত্যু হয়েছে, জানিয়েছে ক্রেমলিন। মেরিন ব্রিগেডের কর্নেল আলেক্সেই শারোভও প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) মোতায়েন করা চেচেন স্পেশাল ফোর্সের জেনারেল মাগোমেদ তুশায়েভ যুদ্ধের বলি হয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, কিছু ক্ষেত্রে রাশিয়ার কূটনৈতিক ব্যর্থতার জেরেই এভাবে একাধিক সেনা আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কিমের ক্ষেপণাস্ত্রে ক্ষুব্ধ ভারত, রাষ্ট্রসংঘে উত্তর কোরিয়াকে তোপ নয়াদিল্লির]
এদিকে শুক্রবারই ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে ১৩০০ জন রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। যদিও পশ্চিমের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, চলতি যুদ্ধে এর পাঁচ গুণ বেশি রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেনে যে রুশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, তার মধ্যে অনেকগুলি বাহিনীই আর লড়াই করার মতো অবস্থায় নেই। শারীরিক ও মানসিকভাবে তাঁরা বিপর্যস্ত।
আরও চাঞ্চল্যকর দাবি তুলেছেন পশ্চিমের কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ৩৭ তম মোটর রাইফেল ব্রিগেডের কমান্ডারকে হত্যা করেছেন তাঁর নিজের দলের সৈন্যরাই। কমান্ডারের ভুল নেতৃত্বে ওই বাহিনীর বিপুল ক্ষতি হওয়ায় পরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
[আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে অস্ত্র, আমেরিকার কাছে প্রতিদিন ৫০০ জ্যাভলিন ও স্টিঙ্গার মিসাইল চাইল ইউক্রেন]
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে (Ukraine) ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রুশ ফৌজ। তারপর থেকেই ডেভিড বনাম গোলিয়াথের লড়াইয়ের দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। যুদ্ধের দুসপ্তাহের মধ্যেই অর্থাৎ ৭ মার্চের মধ্যেই ইউক্রেনকে প্রায় ১৭ হাজার ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মিসাইল ও ২ হাজার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দেয় আমেরিকা ও ন্যাটো দেশগুলি। সিএনএন সূত্রে খবর, আমেরিকার কাছে ফের প্রতিদিন ৫০০ জ্যাভলিন ও স্টিঙ্গার মিসাইল জোগান দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জেলেনস্কি সরকার। এদিকে ইউক্রেনকে হাতিয়ার দিলে ফল ভাল হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।