সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে ১৩ বছরের নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করলেন ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধ। এখানেই শেষ নয়, এরপর ৪৭ বছরের বন্ধুকে ফোন করে বাড়িতে ডাকেন ওই বৃদ্ধ, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার জন্যে। এই জঘন্য অপরাধের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh)। রবিবার গ্রেপ্তার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। ধর্ষণ ও শিশু সুরক্ষা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
ছত্তিশগড়ের বলোদা বাজার জেলার (Baloda Bazar District) ঘটনা। দুই অভিযুক্ত কুঞ্জরাম ভার্মা (৭৬) ও রমেশ ভার্মা (৪৭)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি কয়েক দিন আগের হলেও প্রকাশ্যে আসে গত শনিবার। কুঞ্জরাম একা থাকতেন। মাঝেমাঝেই সে ১০ টাকা দেবে বলে কিশোরীকে বাড়িতে ডাকত বলে অভিযোগ। এদিনও একই টোপ দিয়ে নাবালিকাকে বাড়িতে ডাকেন তিনি। এবং ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এরপর বন্ধু স্থানীয় মুদি দোকানদার রমেশ বর্মাকে বাড়িতে ডাকেন কুঞ্জরাম। রমেশও কিশোরী ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের ১০০ জন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’র তালিকা অমিত শাহকে দিলেন শুভেন্দু! পালটা তোপ কুণালের]
স্থানীয় একা মহিলা কুঞ্জরামের বাড়ি থেকে কিশোরীকে বের হতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টা কিশোরীর মাকে জানান তিনি। এরপর মেয়ের কাছ থেকে সবটা শুনে থানায় যোগাযোগ অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। অভিযোগ পেয়েই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। দ্রুত দুই অভিযুক্ত কুঞ্জরাম ভার্মা ও রমেশ ভার্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তারি উত্তরপ্রদেশে, জানাল কেন্দ্র]
বলোদা বাজারের পুলিশ সুপার দীপক ঝা (Dipak Jha) জানিয়েছেন, কিশোরী অভিযোগ করেছে দুই অভিযুক্ত তাকে মোট তিনবার ধর্ষণ করে। মেয়েটি পুলিশের কাছে এসে পেটে ব্যথা এবং বমির হওয়ার কথাও জানিয়েছিল। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। তবে সোমবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।” অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ (Gang Rape), যৌন অপরাধ (Sexual Crime) ও পকসো (POCSO) আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।