সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কয়েক মুহূর্ত। তারপরই আগুনে জ্বলে উঠবে তাঁর নশ্বর দেহটা। ঠিক সেই সময়ই সকলকে চমকে দিয়ে কেঁদে উঠলেন ‘সদ্যমৃত’ বৃদ্ধা! করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে যাঁর ‘মৃত্যু’ হয়েছিল হাসপাতালে। এমনই অবাক করা ঘটনা ঘটল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বারামাটির মুধালে গ্রামে। যা দেখে মনে পড়ে যেতে বাধ্য পুরনো সেই প্রবাদ ‘রাখে হরি মারে কে’।
ঠিক কী হয়েছিল? ৭৬ বছরের শকুন্তলা গায়কোয়াড নামের ওই বৃদ্ধা কয়েকদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হন। বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু বয়সজনিত কারণে ক্রমশই কাহিল হয়ে পড়ছিলেন তিনি। অবনতি হচ্ছিল শারীরিক পরিস্থিতির। শেষ পর্যন্ত বাড়ির লোক ঠিক করেন, ওঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে আর উপায় নেই।
[আরও পড়ুন: চারদিন যজ্ঞ করলেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ থেকে মুক্তি! আজব নিদান মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর]
তাঁকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় কোনও জায়গাতেই বেড নেই। কার্যত হতভম্ব হয়ে যান সবাই। কী করা যায় ভাবতে ভাবতেই দেখা যায় ক্রমশই ঝিমিয়ে পড়ছেন ওই বৃদ্ধা। ক্রমে তিনি একেবারেই অচেতন হয়ে পড়েন। তাঁর শরীরে কোনও স্পন্দন ছিল না। একেবারে নিঃসার হয়ে যান তিনি।
পরিবারের সদস্যরা ধরে নেন শকুন্তলা দেবীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা ওঁকে নিয়ে ফিরে আসেন বাড়িতে। খবর দেওয়া হয় নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীদের। সকলে তৈরি হন শবযাত্রার জন্য। শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধাকে নিয়ে শ্মশানেও পৌঁছে যান তাঁরা।
আর এরপরই কার্যত ঘটে যায় সেই ‘অলৌকিক’ ঘটনা। চুল্লির সামনে ট্রলিতে শোওয়ানো অবস্থাতেই হঠাৎ কেঁদে ওঠেন বৃদ্ধা। দেখা যায় তিনি চোখ মেলে চারপাশে তাকাচ্ছেন। যা দেখে বিস্মিত হয়ে যান শ্মশানযাত্রীরা। তৎক্ষণাৎ তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তিনি বারামাটির সিলভার জুবিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।