সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স হয়ে গিয়েছে ৭৮ বছর। কিন্তু তাতে কি এসে যায়? বয়স তো শুধু একটা সংখ্যামাত্র। জীবনে নতুন কিছু শুরু করতে কি বয়সের পরোয়া করে কেউ? সেই ভেবেই জুটি বাঁধলেন নাতনির সঙ্গে। দু’জনে মিলে খুলে ফেললেন নতুন ব্যবসা। ব্যাস আর কী! রমরম করে চলছে সেই ব্যবসা। অর্ডার এত বেড়ে গিয়েছে, লোক রেখে কাজ করাতে হচ্ছে।
ঘটনাটি নয়া দিল্লির (New Delhi)। বরাবর উল বুনতে ভালোবাসেন শীলা বজাজ নামে ৭৮ বছর বয়সি ওই মহিলা। এই প্রসঙ্গে তাঁর নাতনি যুক্তি বলেছেন, “ছোট থেকেই দেখেছি ঠাকুমা খুব ভাল উল বুনতে পারেন। আমাদের জন্য সোয়েটার বুনে দিতেন। এমনকী, প্রতিবেশি ছেলেমেয়েদের জন্যও নানা রকম জিনিস বানিয়ে দিতেন।” তবে শীলার এই গুণের কথা জানতেন শুধু তাঁর পরিচিত মানুষরাই।
এরপরেই ২০২০ সালে কোভিড অতিমারীর কবলে পড়ে গোটা পৃথিবী। সেই সময়েই যুক্তি ভেবেছিলেন, ঠাকুমার এত সুন্দর হাতের কাজ সকলের দেখা উচিত। যেমন ভাবা তেমন কাজ। একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেন যুক্তি। সেখানে ঠাকুমার তৈরি করা জিনিসের ছবি শেয়ার করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি দিতেই নিমেষে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে শীলার তৈরি জিনিসগুলি।
[আরও পড়ুন: OMG! প্রেমিকার সঙ্গে অশান্তি, মেজাজ হারিয়ে জাদুঘরের কোটি কোটি টাকার সামগ্রী ধ্বংস করল যুবক!]
শীলার বোনা জিনিস দেখে অনেকেই এই ধরনের জিনিস কিনতে আগ্রহী হন। তখনই ব্যবসা (Knitting Business) করার কথা মাথায় আসে যুক্তির। সেই মতোই জিনিস বানিয়ে বিক্রি করা শুরু করেন দু’জনে। কিছুদিনের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাঁদের ব্যবসা। এখন তাঁদের সঙ্গে আরও ছয়-সাত জন কাজ করেন। যুক্তি বলেছেন, “বেশ কয়েকজন এসে ঠাকুমাকে সাহায্য করেন। নানা বয়সের নানা রকম ডিজাইনের জিনিস বানান ঠাকুমা।” তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সোয়েটার বা মোজা নয়, উল দিয়ে বাচ্চাদের খেলনা, ব্যাগ, ঘর সাজানোর জিনিস- সবই পাওয়া যায় তাঁদের এই ঠাকুমা-নাতনির ব্যবসায়।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এই ব্যবসা। কেমন লাগছে শীলার? তাঁর নাতনি জানিয়েছেন, “ঠাকুমা খুব খুশি। সকলেই প্রশংসা করছে, তাই খুব ভালো লাগছে ঠাকুমার।” খুব ছোট বয়সেই মারা গিয়েছিলেন যুক্তির বাবা। মা এবং ঠাকুমার কাছেই মানুষ হয়েছেন তিনি। কয়েক বছর আগে মাও মারা যান। এখন ঠাকুমার কাছেই থাকেন যুক্তি।