দীপঙ্কর মণ্ডল: দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বুধবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS) প্রথমদিনে মউ স্বাক্ষর করল রাজ্যের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জানান, “কোভিড মহামারীতে বিশ্বের মতো রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাও কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। তবে দ্রুত উৎকর্ষের দিকে এগোচ্ছি। মাঝে একটা সময় বাংলার গৌরব স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। সেই গৌরব আবার মধ্যাহ্নের দীপ্তি ছড়াচ্ছে।”
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kolkata University) উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় তিনটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেন। ইংল্যান্ডের ইউসিএল, লিডস বিশ্ববিদ্যালয় ও পোল্যান্ডের ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা গাঁটছড়া বাঁধে কলকাতার সঙ্গে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur university) স্বাক্ষর করে পাঁচটি মউ। যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য ও আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। পোল্যান্ড, ইংল্যান্ড ছাড়াও ভিন রাজ্যের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গবেষণা ও ছাত্র বিনিময় নিয়ে চুক্তি করল যাদবপুর।
[আরও পড়ুন: ফের অভিনব কায়দায় জালিয়াতি কলকাতায়, বই পাড়ার নাম করে সাফ হচ্ছে অ্যাকাউন্ট]
এদিকে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় গাঁটছড়া বাঁধল রাশিয়ার একটি সংস্থার সঙ্গে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় (Presidency University) মউ চুক্তি করে ‘অ্যাটমিক মিনারেলস ডাইরক্টরেট ফর এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ’য়ের সঙ্গে। অ্যাডামাস, সিকম, সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে। সিস্টার নিবেদিতা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা নেতাজি সুভাষের নামে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়বে। চিকিৎসা গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালও হবে। দার্জিলিংয়ে হবে নতুন স্কিল বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও আরও কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রাজ্যে বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে। উল্লেখ্য, আজ আরও চারটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের মউ স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার ফাঁদ, কসবা থেকে অপহৃত ব্যবসায়ীকে কয়েক ঘণ্টাতেই উদ্ধার করল পুলিশ]
প্রসঙ্গত, তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছিলেন, ‘শিল্প আর কর্মসংস্থানই আমার লক্ষ্য’। সেই লক্ষ্যপূরণ করতে কোভিডের প্রকোপ কমতেই বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS) আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। সেই সম্মেলনের প্রথম দিনেই বড় অংকের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আদানি (Adani Group) এবং হিরানন্দানি (Hiranandani) শিল্পগোষ্ঠী। যার ফলে রাজ্যজুড়ে বিরাট কর্মসংস্থান হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এইসঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রের মান উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।