shono
Advertisement

Breaking News

Pakistan

প্রকৃতির রুদ্ররোষে পাকিস্তান, লাগাতার বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মৃত ৮৭

দেশজুড়ে বিপর্যয়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
Posted: 05:19 PM Apr 20, 2024Updated: 07:25 PM Apr 20, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যের মুখে পাকিস্তান (Pakistan)। গত কয়েকদিন ধরে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টির জেরে এবং বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৮৭ জনের। আহতের সংখ্যা ৮২। গত সপ্তাহে শুরু হওয়া দুর্যোগের বিষয়ে জানিয়েছে পড়শি দেশের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর (NDMA)। প্রাণহানী ছাড়াও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান দিয়েছে NDMA।

Advertisement

মাত্রাছাড়া বৃষ্টিতে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত। জলের তলায় কৃষিজমি। ধসে ভেঙে পড়েছে ২,৭১৫টি বাড়ি। অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ বাড়ির দেওয়াল ভাঙা কিংবা গোটা বাড়িটাই ভেঙে পড়া। এছাড়াও বজ্রপাত এবং বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে বহু মানুষ। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে উত্তরপশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। সেখানে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৫৩ জন। অন্যদিকে অকাল বৃষ্টিতে পাঞ্জাব প্রদেশে মৃতের সংখ্যা ২৫। আহত ৮ জন। দক্ষিণপশ্চিম বালুচিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। আহত হয়েছেন ১০ জন। অন্যদিকে প্রকৃতির রুদ্ররোষে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।

 

[আরও পড়ুন: কাকভোরে কালীগঞ্জে বিস্ফোরণে উড়ল সোনার দোকান, ঝলসে গেলেন মালিক]

দেশজুড়ে ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এলাকায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, বৃষ্টি ও ভূমিধসে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এখনই দুঃস্বপ্নের অবসান হচ্ছে না। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বিপর্যয় চলবে ২২ এপ্রিল অবধি। এর ফলে নতুন করে বহু এলাকা প্লাবিত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য কৃষিজমি।

 

[আরও পড়ুন: ছেলের বেশে মেয়েদের সঙ্গে প্রেম! প্রস্তাব প্রত্যাখানে ‘অ্যাসিড হামলা’র হুমকি, গ্রেপ্তার নাবালিকা]

 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE) ও ওমান (Oman)। ভয়াবহ ঝড়বৃষ্টিতে প্লাবন দেখা দেয় আধুনিক শহর দুবাইতে। সাধারণত গ্রীষ্মকালে বৃষ্টি হয় না আরবদেশে। সেখানেই একদিনে গোটা বছরের বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে বাংলা-সহ গোটা ভারতে চলছে দাবদাহ। অধিকাংশ রাজ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি পারদ চড়ছে। সব মিলিয়ে গোটা পৃথিবীতে বিশ্ব উষ্ণায়নের অশনি সংকেত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ধসে পড়েছে ২,৭১৫টি বাড়ি।
  • সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে উত্তরপশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে।
Advertisement