সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরি শুধু পেলেই হয় না! চাকরি করাটা রীতিমতো শিখতে হয়।
এখানে কিন্তু কাজ শেখার কথা বলা হচ্ছে না। কাজটা জানেন বলেই তো আপনি চাকরিটা পেয়েছেন।
তাহলে শেখার আছেটা কী?
এখানেই কিন্তু আমরা সবাই ভুল করে ফেলি। ঠিক সময়ে অফিসে যাওয়া আর নিজের কাজটা করে বেরিয়ে আসা- এটুকুতেই কর্মক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা ফুরোয় না।
আরও বেশ কিছু দিক আছে, যেগুলো কর্মক্ষেত্রে মেনে চলা উচিত।
Advertisement
• মুষড়ে না পড়া:
কাজের চাপ থাকতেই পারে। তা বলে, মুখ ভার করে ঘুরে বেড়াবেন না। বা, রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে বলে কান্নাকাটিও জুড়ে দেবেন না। এতে একটা নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয় কর্তৃপক্ষের আপনাকে নিয়ে। তাঁরা ভাবেন, আপনি যোগ্য কর্মচারী নন।
• পরনিন্দা-পরচর্চা:
অফিসে অন্যদের নিয়ে নিন্দা বা চর্চা না করাই ভাল! আপনি হয়তো একটা কথা বিশ্বাস করে বললেন কাউকে! এবার তিনি যে সেটা গিয়ে ওই ব্যক্তির কানে তুলবেন না এবং তার থেকে ঝামেলা হবে না- কে বলতে পারে! অতএব, গল্প করুন, কিন্তু পরনিন্দা-পরচর্চা নয়।
• নালিশ করা:
কোনও সংস্থাই এমন কর্মচারী পছন্দ করেন না যিনি কথায় কথায় সব দোষ অন্যদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে নালিশ ঠোকেন! এরকম ক্ষেত্রে একটা সময়ের পর কিন্তু যিনি নালিশ করেন, তাঁকেই বরখাস্ত করা হয়।
• ঘুমিয়ে পড়া:
মানছি, সব সময় কাজ ভাল লাগে না। মানছি, শরীর বা মন খারাপ থাকতেই পারে। এও মানছি যে মিটিংয়ের মাঝে ঘুম চলেই আসে!
কিন্তু আপনিও একটা কথা মেনে নিন। কর্মক্ষেত্রে ঘুমিয়ে পড়লেই কিন্তু ফাঁকিবাজ তকমাটা জুড়ে যাবে গায়ে। তার পর যা যা খারাপ হওয়ার, সবকটাই হতে পারে।
• বসের নিন্দে:
পরনিন্দা-পরচর্চার ক্ষেত্রে যে ঝুঁকিটা থাকে, তা এক্ষেত্রে অনেক বেশি। সহকর্মীকে নিয়ে নিন্দে করলে আপনার চাকরি নাও যেতে পারে। কিন্তু, বসের ক্ষেত্রে কোনও গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। তাই সামলে থাকুন না! আখেরে ভাল আপনারই হবে।
• গালাগালি দেওয়া:
গালাগালি দিয়ে কথা বলাটা কিন্তু একদমই কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যায় না। তাই, সাবধান থাকুন! কখন কোনটা কার গায়ে লাগবে এবং তার জেরে টানাপোড়েন শুরু হবে চাকরি নিয়ে- কে বলতে পারে!
• চুরি করা:
হ্যাঁ, আপনার যদি অফিসে কাউকে পছন্দ হয়, তবে তার হৃদয় চুরি করতেই পারেন! কিন্তু, পেন, বইখাতা এসব জিনিস খুব ছোটখাটো হলেও বাড়িতে নিয়ে আসবেন না। একবার চোর বদনাম লেগে গেলে সহজে মুছবে না।
• অফিসে বাড়ির কাজ:
নিতান্ত বাধ্য না হলে বাড়ির কাজ অফিসে নিয়ে না আসাই ভাল! তাতে বাধ্য কর্মচারী হিসেবে আপনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এই অভিযোগও উঠবে, আপনি অফিসকে সময় এবং গুরুত্ব- কোনওটাই দিচ্ছেন না।
• পান দোষ:
মদ খেয়ে অফিসে আসবেন না, দোহাই! এটা কোনও কর্মক্ষেত্রই বরদাস্ত করে না। যদি কিছু নাও বলে, জানবেন, এটা আপনার বিরুদ্ধে পরে মোক্ষম সময়ে ব্যবহার করার জন্য তুলে রাখা হয়েছে।
আর কী! এগুলো নিয়ে একটু সজাগ থেকে মন দিয়ে কাজ করে যান। আপনার উন্নতি তাহলে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
The post কর্মক্ষেত্রে এই ৯ কাজ এড়িয়ে চলুন! appeared first on Sangbad Pratidin.