অমিতলাল সিংদেও, মানবাজার: গোয়াল ঘরে গরুর বদলে কয়লা! পুলিশি হানায় বাজেয়াপ্ত হল বেআইনি কয়লা। ঝাড়খন্ড সীমানা লাগোয়া পুরুলিয়ার ঝালদার মধুপুরে বেআইনি কয়লা মজুতের ঘটনায় তাজ্জব পুলিশ থেকে আম জনতা। এই সমগ্র ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুরুলিয়ার ঝালদা থানার পুলিশ।
ঝালদা শহর থেকে প্রায় ১৯ কিমি দূরে ঝাড়খন্ড রাজ্যের রামগড় জেলা লাগোয়া ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের হেঁসাহাতু গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট্ট একটি গ্রাম মধুপুর। সোমবার সকালে ঝালদা থানার টহলদারি ভ্যানে থাকা এক সাব ইন্সপেক্টর গোপন সূত্রে জানতে পারেন, ওই গ্রামে বেআইনি কয়লার কারবার চলছে। তবে এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কারণ, অতীতে এই অঞ্চলের বহু জায়গায় অভিযান চালিয়ে কয়লা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঝাড়খন্ডের রামগড় জেলার বেআইনি কয়লা খাদান থেকে সাইকেলে বোঝাই করে বাংলার এই অঞ্চলে মজুত করে তা রাতের অন্ধকারে লরিতে চাপিয়ে গন্তব্যে পাঠিয়ে দেয় চোরা কয়লা কারবারিরা। তবে এদিনের এই ঘটনা চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে অভিযানে থাকা পুলিশ আধিকারিক থেকে ফোর্সের। কারণ পিন পয়েন্ট খবরের ভিত্তিতে মধুপুর গ্রামে বিনোদ গরাই-এর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কয়লা তো দূর অস্ত কয়লার ছাই পর্যন্ত পরে থাকার চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: ফিল্মি কায়দায় হামলা রামনগরের শপিং মলে! মালিককে এলোপাথাড়ি কোপ যুবকের]
তবে খানিকক্ষন ওই ব্যক্তির বাড়ির এদিক সেদিক উঁকি মারতেই চোখে পড়ে গোয়াল ঘর। কিন্তু গোয়াল ঘরে গরুর জায়গায় কি আর কয়লা থাকে? অভিযানে থাকা কন্সটেবলদের এমন প্রশ্নের জবাব খানিকক্ষণের মধ্যেই হাতে কলমে পেয়ে যান ওই পুলিশ আধিকারিক। বাজেয়াপ্ত করা হয় গোয়াল ঘরে মজুত করা ৯ টন বেআইনি কয়লা। তবে পুলিশ সেখানে পৌঁছনোর আগেই গা ঢাকা দিয়েছিলো কারবারিরা। পরে স্থানীয় মানুষজনদের জিজ্ঞসাবাদ করে ওই গ্রামের তিনজনের নাম জানতে পারে পুলিশ। সম্প্রতি পুরুলিয়ার নতুন পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় দায়িত্ব নেওয়ার পরেই জেলা জুড়ে সমস্ত রকম বেআইনি কারবার বন্ধের নির্দেশ দেন। যার ফলে বেআইনি কয়লা, বালি, পাথর পাচারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে। তাই পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই গোয়াল ঘরে কয়লার কারবার বলে দাবি ঝালদা থানার পুলিশের।