সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোনের সামনেই ৯ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার মুখ বন্ধ রাখতে তার হাতে ২০ টাকা গুঁজে দিল ধর্ষক। গত রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও এখনও অভিযুক্তের কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ। শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
জানা গিয়েছে, আদতে গোন্দিয়ারের বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা মাস তিনেক আগে সম্প্রতি সপরিবারে নাগপুরে চলে আসে। তার বাবা-মা পেশায় দিনমজুর। দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে প্রতিদিন কাজে যেতেন তাঁরা। সেই সুযোগ নিয়েই রবিবার বিকেলে তাঁদের বাড়িতে এসে বছর পাঁচেকের বোনের সামনেই ৯ বছরের ওই বালিকাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে বালিকার বাবা-মা দেখেন ব্যথায় কুঁকড়ে রয়েছে তাঁদের মেয়ে। গোটা ঘটনা জানায় পর পারদি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষাতেও ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। নির্যাতিতার পোষাকেও রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে এই কাণ্ড ঘটায় অভিযুক্ত। এই ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে নাবালিকার হাতে গুঁজে দেওয়া হয় ২০ টাকার নোট। আর এই গোটা ঘটনা ঘটে তার ৬ বছর বয়সি বোনের সামনে। নাবালিকার বর্ণনা অনুযায়ী, পুলিশের অনুমান ওই যুবক সম্ভবত মারাঠি। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৬ আগস্ট মহারাষ্ট্রের ঠানের বদলাপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শৌচালয়ে দুই খুদে পড়ুয়ার উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এই ঘটনায় থানায় শিশুর পরিবার অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে। শেষে নির্যাতনের অভিযোগে স্কুলেরই ২৩ বছরের সাফাইকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গড়িমসির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় ৩ পুলিশকর্মীকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধর্ষণের ঘটনা মহারাষ্ট্রে।
