সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনে প্রথমবার বিয়ের পিঁড়িতে। তাও আবার ৯৫ বছর বয়সে। ২৩ বছরের ভালবাসা অবশেষে বদলে গেল পরিণয়ে। ৮৫ বছর বয়সি পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে সেরে ফেললেন পঁচানব্বইয়ের যুবক। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে বিয়ে করে পাত্র-পাত্রী বেজায় খুশি। আগামী দিনে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে মুখিয়ে রয়েছেন নবদম্পতি। ইংল্যান্ডের কার্ডিফের (Cardiff) এই অভিনব বিয়ের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।
২৩ বছর আগে একটি গির্জায় দেখা হয়েছিল পাত্র জুলিয়ান ময়েল এবং পাত্রী ভ্যালেরি উইলিয়ামসের। এতদিন পরে সেই গির্জাতেই বিয়ে করলেন দু’জন। এতদিন পরিচয় থাকলেও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাত্র তিনমাস আগে। বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০ জন বন্ধু উপস্থিত ছিলেন তাঁদের এই নতুন পথ চলার সাক্ষী হতে। পেশায় অপেরা সিংগার ছিলেন জুলিয়ান। তাই বিয়ের আসরেও অপেরা গান হয়েছে। বিয়ের (Late Marriage) পরে হানিমুনের প্ল্যানও তৈরি তাঁদের। জুলিয়ানের জন্মস্থান অস্ট্রেলিয়াতে বেড়াতে যাবেন নবদম্পতি।
[আরও পড়ুন: এমন প্রথাও হয়! বিয়ের পর তিনদিন শৌচালয়ে যেতে দেওয়া হয় না নবদম্পতিকে!]
এতদিন পরে বিয়ে করে কেমন লাগছে? উত্তরে ভ্যালেরি বলেছেন, “বিশ্বাসই করতে পারছি না।” নতুন কনে আরও বলেন, দু’জনে একসঙ্গে অনেক সময় কাটাবেন। অন্যদিকে জুলিয়ান মজা করে বলেছেন, “আগে কখনও বিয়ে করছি বলে তো মনে করতে পারছি না।” স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে যাওয়ার প্রসঙ্গে হাসিমুখে জানালেন, “দেরি করে হলেও হানিমুন হবে অস্ট্রেলিয়াতে।” সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে ‘মিসেস ময়েল’ বলে অভিহিত করে জুলিয়ান বলেছেন, “আমার দেশ ঘুরিয়ে দেখাব মিসেস ময়েলকে।”
কীভাবে একে অপরকে বর্ণনা করবেন? উত্তরে ভ্যালেরি বলেছেন, ‘ও খুব ভদ্র’। জুলিয়ানের মতে, তাঁর স্ত্রী খুব সাধারণ এবং দয়ালু। তবে তাঁদের দুজনের সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি হল একে অপরকে হাসানো। তাঁরা সবসময় অন্যের মুখে হাসি ফোটান। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও যে সত্যিকারের ভালবাসা খুঁজে পাওয়া যায়, ভ্যালেরি এবং জুলিয়ানের বিয়ে সে কথাই মনে করিয়ে দেয়।