নিরুফা খাতুন: ইউনেসকোর হেরিটেজ তালিকায় স্থান পাওয়ার বছরে কলকাতার ৪২টি পুজো ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান-২০২২’ (Biswa Bangla Sharad Samman) -এ সেরার সেরা সম্মান পেল। এছাড়া ২০টি পুজো পেয়েছে সেরা ভাবনা পুরষ্কার। সেরা পরিবেশবান্ধব পুজোর তকমা পেয়েছে ১৬টি কমিটি। ৮ অক্টোবর রেড রোডে বর্ণাঢ্য কার্নিভালে প্রতিমা-সহ অংশ নেবে এই কমিটিগুলি।
বস্তুত, সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে কলকাতা ও বাংলার দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022)। ইউনসকো কলকাতার দুর্গাপুজোকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তারপর বিশ্বের নানা দেশের প্রতিনিধিরা এসেছেন এবারের পুজোয়। এবার শিল্প-সংস্কৃতিতে উৎসব যেন আরও নান্দনিক। শনিবার রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পুরষ্কার ঘোষণা করেন। ৯৯টি পুজোকে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান-২০২২ পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৭৫টি। চারটি ক্যাটগরিতে পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়। সেরার সেরা, সেরা ভাবনা, সেরা পরিবেশবান্ধব এবং বিশেষ পুরষ্কার।
[আরও পড়ুন: ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় আনন্দের তাল কাটল বৃষ্টি, কলকাতা জুড়ে বিক্ষিপ্ত বর্ষণ]
শহরে মোট ৫৪১টি পুজো এই প্রতিযোগিতায় আবেদন করেছিল। এরমধ্যে ৯৯টি পুজোকে পুরষ্কৃত করা হয়। উল্লেখ্য, গতবার নাম থাকলেও এবার বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পুরষ্কার তালিকায় নাম নেই নাকতলা উদায়ণ সংঘের। এছাড়া ২২টি জেলার ২৮৯টি পুজোকে পুরষ্কৃত করা হয়। ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ‘‘কলকাতা ছাড়া জেলার পুজোগুলিও বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। জেলা থেকে ১২৩৯টি পুজো আবেদন করেছিল। তার মধ্যে ২৮৯টি পুজোকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পাওয়া পুজোগুলিকে নিয়ে জেলায় ৭ অক্টোবর শোভাযাত্রা হবে।
সেরার সেরা পুজো তালিকায় রয়েছে- চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সংঘ, টালা প্রত্যয়, ত্রিধারা, কালিঘাট মিলন সংঘ, শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব, সমাজসেবী, বাবুবাগান, চক্রবেড়িয়া, হিন্দুস্থান ক্লাব সর্বজনীন দুর্গাপুজা কমিটি, দক্ষিণ কলকাতা সর্বজনীন, একডালিয়া এভারগ্রিন, রাজডাঙা নব উদয় সংঘ, হিন্দুস্থান পার্ক সর্বজনীন দুর্গোৎসব, ৯৫ পল্লি যোধপুর পার্ক, অবসর, আহিরীটোলা সর্বজনীন,কাশীবোস লেন সর্বজনীন দুর্গোৎসব, দমদম তরুণ দল, খিদিরপুর ২৫ পল্লি, শিবমন্দির, বালিগঞ্জ কালচারাল, হাতিবাগান সর্বজনীন, মুদিয়ালি, বকুলবাগান, ঠাকুরপুকুর এস বি পার্ক, বাগবাজার সর্বজনীন, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ, উল্টোডাঙা তেলেঙ্গাবাগান, যোধপুর পার্ক শারদীয়া দুর্গোৎসব কমিটি, ৬৬ পল্লি, ৪১ পল্লি, দমদম তরুণ সংঘ, আলিপুর বডিগার্ড লাইনস দুর্গাপুজা, অর্জুনপুর আমরা সবাই, কলেজ স্কোয়ার, আলিপুর সর্বজনীন, ভবানীপুর ৭৫ পল্লি, খিদিরপুর ৭৪ পল্লি, সিংহী পার্ক।
[আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে টাকা উদ্ধার কাণ্ড: আমিরের সঙ্গী শুভজিৎ শ্রীমানির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি]
সেরা ভাবনা পুরষ্কার পেয়েছে, রামমোহন সম্মেলনী, বেহালা উত্তর হালপাড়া ক্লাব, বেহালা প্লেয়ার্স কর্নার, বেলগাছিয়া সাধারণ দুর্গোসব, উল্টোডাঙা বিধান সংঘ, ন’পাড়া দাদা ভাই সংঘ, বরাহনগর নেতাজী কলোনি লো-ল্যান্ড, দমদম দক্ষিণপাড়া দুর্গোৎসব, চালতাবাগান সর্বজনীন, গোলমাঠ ভবানীপুর, ৭৬ পল্লি ভবানীপুর, হাতিবাগান নবীন পল্লি, নিউটাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, হালতু নন্দীবাগান দুর্গোসব, আহিরীটোলা যুবকবৃন্দ, সল্টলেক এ কে ব্লক, কসবা বোসপুকুর শীতলা মন্দির, নবপল্লী সংঘ সর্বজনীন দুর্গোৎসব, ১৪ পল্লী উদয়ন সংঘ, শান্তিপল্লী পূজা কমিটি।
সেরা পরিবেশবান্ধব পুজোগুলি হল- সল্টলেক এফডি ব্লক সর্বজনীন, কুমারটুলি সর্বজনীন, যুবমৈত্রী, নেতাজী জাতীয় সেবাদল, পূর্বাচল শক্তি সংঘ, টালা বারোয়ারি, সন্তোষপুর লেকপল্লি, চোরবাগান, কোলাহল গোষ্ঠী, অজেয় সংহতি, বেলেঘাটা ৩৩ পল্লি, এনএসসি স্পোর্টস ক্লাব-গান্ধী কলোনি, উল্টোডাঙা শুড়ির ক্লাব, দমদম ভারতচক্র, কামডহরি সুভাষপল্লি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
এছাড়া বিশেষ পুরষ্কার পেয়েছে- বাটাম ক্লাব, ভবানীপুর শীতলা মন্দির, ফরোয়ার্ড ক্লাব, স্বাধীন সংঘ, ভবানীপুর সর্বজনীন ধর্মপ্রসারণী সমিতি(মুখার্জী ঘাট), ফাল্গুনী সংঘ, ভবানীপুর মুক্তদল, কসবা বোসপুকুর তালবাগান, পদ্মপুকুর বারোয়ারি, হরিদেবপুর নিউ স্পোর্টিং ক্লাব, ৬৮ পল্লী, ক্যানেল রোড সমাজসেবা সমিতি, ২১ পল্লি, ডিএন মিত্র স্কোয়ার, প্রত্যাপাদিত্য ত্রিকোণ পার্ক, পূর্ব পুঁটিয়ারি প্রগতি সংঘ, ২২ পল্লি ভবানীপুর, আদি বালিগঞ্জ, ৬২ পল্লী, কালিঘাট কিশোর সংঘ, কাঁসারিপাড়া সর্বজনীন শারদোৎসব কমিটি।