সম্যক খান, মেদিনীপুর: বয়স তিন বছরও হয়নি। সবেমাত্র ২ বছর ১১ মাস। এই একরত্তি বয়সেই ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস, এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস এবং ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নিজের জায়গা করে নিল চন্দ্রকোনার অরিন মালস। ছোট্ট অরিনের এই অসামান্য প্রতিভায় গর্বিত বাবা অনিন্দ্য মালস, মা বুলবুল থেকে শুরু করে জেলার মানুষজনও।
অরিনদের আসল বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোনায়। তার বাবা অনিন্দ্যবাবু চাকরিসূত্রে পরিবার নিয়ে বর্তমানে বিহারের রাজধানী পাটনায় বসবাস করেন। সেখানে বসেই ছেলেকে একটু একটু করে তৈরি করছেন মালস দম্পতি। তবে ছেলের এই মেধা অবাক করে তাঁদেরও। জানা গিয়েছে, খুদে অরিন মাত্র ২৩ সেকেণ্ড সময়ের মধ্যে অবলীলায় বলে ফেলতে পারে দেশের ২৮ টি রাজ্যের রাজধানীর নাম। মাত্র এক মিনিটে বলেতে পারে ৩২ টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম।
[আরও পড়ুন: ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতার, ঘনাচ্ছে রহস্য]
শুধু তাই নয়, ৫০টি দেশের রাজধানীর নামও তার কন্ঠস্থ। অশোক চক্রের ২৪ টি দণ্ডের অর্থও তাঁর ঠোঠস্থ। ভারতের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীর নাম তার মুখস্থ। ৫০ টি পশু, ৪০ ফল, ৪০ গবাদি পশু, ৩৫ পাখি, ৪৫ টি গাড়ি, ১০ টি ফুল দেখেই চিনে ফেলতে পারে সে। ১০ টি পশুর ডাকও এই বয়সে নকল করতে শিখে নিয়েছে। এধরনের অজস্র প্রতিভা আছে তার ঝুলিতে। যা অবাক করেছে সকলকেই।
এর আগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে (India Book of Records) নাম তুলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খুদে অদ্রীশ পাল। তিন বছর ১১ মাস বয়সে তার ঠোঠস্থ ছিল ২৫ টি কবিতা। ইংরেজিতে সপ্তাহের সাতদিনের নাম, বারো মাসের নাম, ১৪টি রং, বিভিন্ন আকৃতি, মানবদেহের ১৬টি রং, একাধিক ফুল-সবজির নাম তাকে জিজ্ঞেস করলে মুহূর্তেই উত্তর দিত সে। কম্পিউটারেও যথেষ্ট দক্ষ ছিল। যা তার সহপাঠিদের কাছে সত্যিই অনেকটাই কঠিন। ফের পশ্চিম মেদিনীপুরে মিলল বিস্ময় বালকের হদিশ।