অর্ণব আইচ, বারাকপুর: বাড়ির রিজার্ভার থেকে উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা বধূর দেহ। বুধবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) জগদ্দল থানার শ্যামনগর শান্তিগড় এলাকায়। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৃতার স্বামী আবির পুরকায়েতকে।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম প্রিয়াঙ্কা পুরকায়েত। বয়স ৩৬ বছর। শ্যামনগর শান্তিগড় এলাকায় ছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ি। একই এলাকায় থাকেন প্রিয়াঙ্কার মাসি মায়ারানী মণ্ডল। তিনি বধূর বাপের বাড়ি থেকে জানতে পারেন প্রিয়াঙ্কাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বুধবার দুপুর থেকে। এরপরই মায়ারানীদেবী বোনঝির শ্বশুরবাড়িতে যান। শুরু করেন খোঁজাখুঁজি।
[আরও পড়ুন: Madhyamik Exam 2021: ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই সারতে হবে মাধ্যমিকের টেস্ট, নির্দেশ পর্ষদের]
স্থানীয়দের দাবি, বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর প্রিয়াঙ্কার স্বামী আবির বাড়ির জলের রিজার্ভারের ঢাকনা খুলে উদ্ধার করে স্ত্রীর দেহ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতার পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, আবীর তার স্ত্রীকে খুন করে রিজার্ভার ঢুকিয়ে রেখেছিল। এবিষয়ে মৃত গৃহবধূর মাসি মায়ারানী মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ঘরে গিয়ে দেখলাম প্রিয়াঙ্কা নেই। খোঁজ করেও ওকে পেলাম না। এরপর আবির সিঁড়ির তলায় জলের রিজার্ভারের ঢাকনা খুলে বলল, এখানে পড়ে আছে। ও নিজেই বের করল।”
মায়ারানীদেবী বলেন, “পাঁচ বছর আগে ওদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই আবির প্রিয়াঙ্কাকে মারধর করত। প্রিয়াঙ্কা পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বাও ছিল। ওই প্রিয়াঙ্কাকে খুন করেছে। আমরা ওর ফাঁসি চাই।” এদিকে, রিজার্ভার থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আবিরের বাড়ির সামনে ভিড় করে ক্ষোভপ্রকাশ করে। খবর পেয়ে জগদ্দল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। আবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার মুখ ও নাকে রক্তের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুন করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু কারণ এখনও অজানা।