নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রামে অজানা রোগে সোমবার ফের মৃত্যু হল এক শিশুর। এ নিয়ে গত কয়েকদিনে চার শিশু ও এক নাবালকের মৃত্যু হল।একইসঙ্গে ওই গ্রামে নতুন করে অসুস্থ ৯ জন।ফলে অসুস্থের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫। তাদের সকলের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতার ট্রপিক্যালে পাঠানো হয়েছে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞের এক চিকিৎসক দল গ্রামে গিয়ে অসুস্থ শিশুদের দেখে আসেন। এদিকে গ্রামে ১৩১ জনের রক্তের যে নমুনা পাঠানো হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ১২২ জনের রক্তে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।
রবিবার সন্ধেয় অসুস্থ হয়ে পরে মুসকান খাতুন নামে বছর দশের এক বালিকা। তার বাবা দুলু শেখ জানান, “মেয়ে বমি করতেই আশা কর্মীর মাধ্যমে স্থানীয় চিকিৎসকদের গিয়ে বলি। রাতে বমি থামে। ফের সোমবার সকাল থেকে বমি হতেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে তাকে ভরতি করা হয়। এদিন দুপুরে তার মৃত্যু হয়।” এদিকে নতুন করে অসুস্থ হয়ে পরে ৯ জন শিশু ও নাবালক। তাদের নিয়ে মোট ১৫ জন অসুস্থ শিশুর রক্তের নমুনা ট্রপিক্যালে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে একটি শিশুকে বসোয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়।
[আরও পড়ুন: গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা মেনে নিয়ে রাজ্যে সপ্তাহে দু’দিন করে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা নবান্নর]
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিজিত চৌধুরি বলেন, “রক্তের নমুনার রিপোর্ট যাতে দ্রুত পাওয়া যায় তার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। গ্রামে একটি অ্যাম্বুল্যান্স ২৪ ঘন্টা পরিষেবার জন্য রাখা হয়েছে।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পার্থ দে বলেন, “করোনার উপসর্গ অনুমান করে যে ১৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ১২২ জনের রক্তের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ফলে করোনার উপসর্গে মৃত্যু নয় এটা নিশ্চিত।” তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমান, মৃত্যুর কারণ খাদ্যে বিষক্রিয়ার হতে পারে। তাই পরীক্ষার জন্য সোমবার মৃত মুসকানের দেহের ময়নাতদন্ত করে তার পাকস্থলি থেকে খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘চোপড়া কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি হবেই’, নিহত কিশোরীর বাবাকে আশ্বাস গৌতম দেবের]
The post খাবারে বিষক্রিয়া নাকি অন্য কিছু? বীরভূমে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় এখনও অধরা কারণ appeared first on Sangbad Pratidin.