রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ফের নক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী বাংলা। সাড়ে পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য পুকুর পাড়ে পুঁতে দেওয়া হল দেহ। ওই শিশুর প্রতিবেশী এক যুবক, তার বাবা এবং মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের অমরপুর গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত এলাকাবাসী অভিযুক্ত যুবককে গণধোলাই দেয়। ঘটনাস্থলে হাজির হয় পটাশপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে দেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক শুভেন্দু ঘটম, তার বাবা ও মাকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত শিশুকন্যার বয়স পাঁচ বছর।
অভিযোগ, সাড়ে পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্ত যুবক শুভেন্দু ধর্ষণ (Rape) করে। ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য পুকুরপাড়ে দেহ পুঁতে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফিরলে শিশুকন্যার খোঁজ শুরু করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু শিশুকন্যার কোথাও সন্ধান পাননি। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বেশ কিছুক্ষণ পর শিশুর বাবা-মা জানতে পারেন, শেষবার শুভেন্দুর সঙ্গে ওই শিশুটিকে ফাঁকা জায়গায় যেতে দেখা গিয়েছে। কিছুক্ষণ পরে পুকুর পাড়ে শিশুকন্যার দেহ দেখতে পান তাঁরা। এরপর যুবককে ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। শুরু হয় গণপ্রহার। অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পটাশপুর থানার পুলিশ। ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। কোনওরকমে এলাকাবাসীদের বুঝিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযুক্তের বাবা কমল ঘটম এবং মা কৃষ্ণা ঘটমকেও আটক করে থানায় নিয়ে যান তদন্তকারীরা। পুলিশ সাড়ে পাঁচ বছরের শিশুর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে মালদহে অস্ত্র কারখানার হদিশ, ধৃত ২, স্পষ্ট মুঙ্গের যোগ]
মৃত শিশুকন্যার মা বলেন, “আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর গলা টিপে খুন করা হয়েছে। আর প্রমাণ লোপাটের জন্য পুকুরপাড়ে দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের শাস্তি চাই। অভিযুক্ত যুবক শুভেন্দু ঘটম-সহ পরিবারের তিনজনের ফাঁসি চাই।” পটাশপুর থানার ওসি দীপক চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার বাবা।