সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সোমবার আমেরিকার বাল্টিমোরে ভয়ংকর সেতু বিপর্যয় ঘটে। সেই রেশ এখনও কাটেনি। ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ চলছে। এর মাঝেই মাত্র ৫ দিনের মাথায় ফের সেতু দুর্ঘটনা ঘটল মার্কিন মুলুকে। এবার ওকলাহোমায় আরকানস নদীর সেতুতে গিয়ে ধাক্কা মারে একটি বার্জ। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টা নাগাদ আরকানস নদীর উপর একটি সেতুতে ধাক্কা মারে একটি বার্জ। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ওকলাহোমা স্টেট পুলিশ দক্ষিণ সালিসোর রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। বাল্টিমোরের ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছিল। তার থেকে শিক্ষা নিয়েই এদিনও সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, ভালোভাবে ব্রিজটি পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত সেটিতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। গাড়ি যাতায়াতের পথও বদল করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলি ফৌজের জালে হামাস প্রধানের বোন, আরও চাপে হানিয়েহ]
উল্লেখ্য, বাল্টিমোরের ফ্রান্সিস স্কট কি নামের ওই সেতু আমেরিকার এক বিখ্যাত সেতু। গত সোমবার গভীর রাতে যার একটি ভিতে ধাক্কা মারে একটি মালবাহী জাহাজ। সঙ্গে সঙ্গে প্যাটাপস্কো নদীতে ভেঙে পড়ে অতিকায় সেতুটি। সেসময় জাহাজটিতে ছিলেন ২০ জন ভারতীয় নাবিক। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা ঘটনার আগেই সকলে বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁরা জাহাজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। ধাক্কা মারার ঠিক আগে জাহাজটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা প্রশাসনকে সতর্ক করে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তা না হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। এই তৎপরতার জন্য ভারতীয়দের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
কিন্তু জানা গিয়েছে, এখনও দুর্ঘটনায় পড়া জাহাজেই রয়েছেন ২০ জন ভারতীয়। কবে জাহাজ থেকে উদ্ধার পাবেন তাঁরা? এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দাবি, খুব শিগগিরি তেমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অন্তত যতক্ষণ না সেতুর ভাঙা টুকরো আশপাশের এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে ততক্ষণ ওই জাহাজের দেখভাল করে যেতে হবে সংশ্লিষ্ট নাবিকদের। কতদিন লাগতে পারে সেতুর ধ্বংসাবশেষ সম্পূর্ণ সরিয়ে ফেলতে? মনে করা হচ্ছে, পুরো কাজ শেষ করতে বেশ কিছুদিন লাগতে পারে। এখনও কাজ যেহেতু অনেকটাই বাকি, তাই নির্দিষ্ট দিনসংখ্যা বলতে পারা সম্ভব নয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে। ফলে আপাতত বেশ দীর্ঘ সময়ই যে ওই নাবিকদের থাকতে হবে জাহাজটিতেই, তা স্পষ্ট।