অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ফের প্রকাশ্যে বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার বিজেপির কর্মী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলাকালীন পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) জেলা সভাপতির উপর হামলার অভিযোগ উঠল যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও জেলা সভাপতির অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে তৃণমূলের। রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে তাঁরাই পরিকল্পনামাফিক একাণ্ড ঘটিয়েছে।
শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি বিধানসভার দাঁতন ১ ব্লকের কর্মীদের জন্য বিজেপির তরফে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল দাঁতনের রবীন্দ্রভবন অডিটোরিয়ামে। সেখানে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সমিত দাস। সুষ্ঠভাবেই শুরু হয়েছিল অনুষ্ঠান। নির্দিষ্ট সময়ে বিরতি দেওয়া হয়। সেই সময়ই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। অভিযোগ, বিরতির সময়ই আচমকা জেলা সভাপতি সমিত দাসের ওপর হামলা চালায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত দাঁতন দক্ষিণ মণ্ডলের প্রাক্তন যুব সভাপতি উত্তম দাস। অভিযুক্তের অতর্কিত হামলায় মাথা ফাটে জেলা সভাপতির। রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দাঁতন হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে পাঠানো হয় মেদিনীপুর হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: কন্যাসন্তানের দাম ৪ হাজার টাকা! সংসারের হাল ফেরাতে দুধের শিশুকে বিক্রি করল দম্পতি]
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত উত্তম দাসকে আটক করেছে দাঁতন থানার পুলিশ। যদিও ঘটনার পিছনে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্ব মানতে নারাজ আক্রান্ত বিজেপি সভাপতি। তাঁর কথায়, তৃণমূলের যোগসাজশে উত্তম এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও বিজেপি জেলা সভাপতির অভিযোগ মানতে নারাজ দাঁতনের তৃণমূলের বিধায়ক। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এই রক্তারক্তি কাণ্ড বলেই দাবি তাঁর।