shono
Advertisement

নাবালিকার ‘ধর্ষণে’সহযোগিতা! গাইঘাটায় বিজেপি নেত্রী-সহ গ্রেপ্তার ৪

ঘটনার সমালোচনায় সরব তৃণমূল।
Posted: 09:34 PM Apr 21, 2022Updated: 09:34 PM Apr 21, 2022

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ধর্ষণকারীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে সাহায্য চেয়ে চিৎকার করে বছর পনেরোর নাবালিকা। অভিযোগ, তাকে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরিবর্তে এক যুবক তার মুখে জোর করে জামা গুঁজে দেয়। তারপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পুলিশ ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতা করার অভিযোগে এক বিজেপি নেত্রী-সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ির সামনে খেলছিল ওই নাবালিকা। তখন প্রতিবেশী এক যুবক নতুন ক্যামেরা কিনেছে বলে তাকে জানায়। সেই ক্যামেরা দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেই বাড়িতেই ধর্ষণ করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে৷ নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে তিনি খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। প্রতিবেশী মহিলার বাড়িতে যান। নাবালিকার বাবা দেখেন, ওই মহিলা এবং তার ছেলে ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাঁর সন্দেহ হয়। জোর করে দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢোকেন নিগৃহীতার বাবা। নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হচ্ছে বলেই দেখেন তিনি। পাশে দাঁড়িয়ে আরও এক যুবক। বাবাকে দেখতে পেয়েই নাবালিকা ছুটে আসে। বাবাকে জানায় চিৎকার করলেও কেউ সাহায্য করেনি তাকে।

[আরও পড়ুন: জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে মাদক খাইয়ে কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’, কোন্নগরে আটক ৪ নাবালক ‘বন্ধু’]

এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে অভিযুক্তরা সকলেই পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিছুক্ষণের মধ্যে এলাকা থেকে বিজেপি নেত্রী-সহ 8 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলার স্বামী কেরলে কাজ করেন। সেখানেই কাজ করে ওই দুই যুবক। তারা আবার নদিয়ার নবদ্বীপের বাসিন্দা। সেই সূত্রেই ওই মহিলার সঙ্গে তাদের পরিচয়। তারা মহিলার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। অভিযুক্ত মহিলা এলাকায় বিজেপি নেত্রী হিসেবে পরিচিত।

স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক রং। গাইঘাটা পশ্চিম ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব দাস বলেন, “ওই মহিলা উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি এখানে আনতে চাইছেন। ঘটনাটি খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব।” বিজেপির গাইঘাটা বিধানসভার বিজেপির কো-কনভেনার রাজকুমার মিত্র অবশ্য জানিয়েছেন, “ওই মহিলা বিজেপি কর্মী হিসেবে আগে মিটিং, মিছিল করতেন। তবে গত ছয় মাসে তাকে কোনও মিটিং, মিছিলে দেখা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে৷ দোষ প্রমাণিত হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে৷ এ বিষয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই।”

[আরও পড়ুন: মন্দির তৈরির চাঁদা দিতে পারেনি দলিত যুবক, থুতু ছিটিয়ে নাকখত দিতে বাধ্য করল ‘সরপঞ্চ’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement