রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বিধানসভার প্রথম দফার নির্বাচনের (Assembly Election 1st Phase) দিন হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন এক তৃণমূল কর্মী। কলকাতার হাসপাতালে ভরতি করলেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রাণহানি হয় ওই তৃণমূল কর্মীর। সেই ঘটনাতেই এবার সিআইডির জালে এক বিজেপি কর্মী।
বিধানসভার প্রথম দফার নির্বাচনের দিন হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে (Nandigram) দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী রবীন্দ্রনাথ মান্না। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কলকাতায় নিয়ে গেলেও কয়েকদিন পরেই মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার পর থেকেই অজ্ঞাত জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছিল মূল অভিযুক্ত রাধাকান্ত দাস ওরফে মিঠুন। এই ঘটনার পর শোক ব্যক্ত করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব বর্তায় জেলা সিআইডি’র হাতে। ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইডি’র দল খেজুরির হেড়িয়া এলাকায় গোপন ডেরা থেকে রাধাকান্তকে পাকড়াও করে। ধৃতকে শুক্রবার হলদিয়া আদালতে তোলা বিচারক ৯দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঠিক কোন কারনে রবীন্দ্রনাথের ওপর হামলা হয়েছিল, এই ঘটনার পিছনে আর কারও হাত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: ‘জল ও দুধের বন্ধুত্ব’ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট সৌমিত্র খাঁর, কাকে বার্তা দিলেন BJP সাংসদ?]
নন্দীগ্রামের তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের দাবি, নন্দীগ্রামের বয়ালের বাসিন্দা অভিযুক্ত মিঠুন এলাকায় বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথ মান্না তৃণমূল করার জন্যই তাঁকে মারধর করা হয়। সেই মারের ঘটনাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা তমলুক জেলা বিজেপির-সহ সম্পাদক প্রলয় পালের দাবি, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু অপরাধীদের ধরার নামে বিজেপি (BJP) কর্মীদের বেছে বেছে হেনস্তা করা হচ্ছে। এলাকায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয় না কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। শুধু রাজনৈতিক আক্রোশ মেটাতেই প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়। এই পরিস্থিতির বদল হওয়া দরকার বলেও দাবি করেছেন তিনি।