সৌরভ মাজি, বর্ধমান: যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে পড়ে যুবতীর রক্তাক্ত দেহ। নিম্নাংশ ভেসে যাচ্ছে রক্তে। শনিবার সকালে এমন দৃশ্য দেখে শিউড়ে ওঠেন বর্ধমানের (Bardhaman) দেওয়ানদিঘি এলাকার বাসিন্দারা। কোথা থেকে এল দেহ? ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কিনা উঠছে প্রশ্ন। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
এদিন ভোরে খেতিয়া গ্রামের যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে যুবতীর দেহটি উদ্ধার হয়। রক্তাক্ত দেহটি সেখানে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দেহের নিম্নাংশ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। দেহের একাধিক জায়গায় কালসিটের দাগও ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়রাই দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
[আরও পড়ুন: Ira Basu: ‘স্বেচ্ছায় এমন জীবন বেছেছেন ইরা’, ভবঘুরে মহিলাকে বোন বলে স্বীকার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রীর]
স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, রাতের অন্ধকারে অন্যত্র খুন করে দেহ খেতিয়ার বাসস্ট্যান্ডে ফেলে যাওয়া হয়েছে। তবে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে। দেহটি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও প্রাথমিক খবর। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ। ওই যুবতীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।