সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দ্বাদশীর দিনে গড়িয়াহাটে খুন হন এক শিল্পকর্তা এবং তাঁর গাড়িচালক। এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বর্ধমানে খুন কলকাতারই ব্যবসায়ী। বন্ধুর সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে গিয়েই খুন কলকাতার ব্যবসায়ী (Businessman)। অভিযোগ, গুলি করে খুন করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। কে বা কারা তাঁকে খুন করল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ীর গাড়িচালক, রাঁধুনী এবং তার এক বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনার জট কাটবে বলে আশা তদন্তকারীদের।
নিহত বছর সাঁইত্রিশের সব্যসাচী মণ্ডল। তিনি কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকার বাসিন্দা। হার্ডওয়ারের ব্যবসা করতেন সব্যসাচী। শুক্রবার সন্ধেয় রাজবীর সিং নামে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমানের রায়নায় গ্রামের বাড়িতে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর গাড়িচালক এবং এক রাঁধুনী। ওইদিন সন্ধেয় গ্রামের বন্ধুরাও জড়ো হন। ছাদেই শুরু হয় পিকনিক। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে পিকনিকের সময় বচসাও হয় সব্যসাচীর।
[আরও পড়ুন: পাম্প না করেই টিউবওয়েল থেকে এক নাগাড়ে বেরিয়ে আসছে জল, তাজ্জব বর্ধমানবাসী]
তারই মাঝে আচমকাই সব্যসাচীর গাড়িচালক ছাদে দৌড়ে আসেন। বেশ কয়েকজন ওই ব্যবসায়ীকে ডাকছেন বলে জানান তিনি। সেই অনুযায়ী ছাদ থেকে নিচে নামেন সব্যসাচী। অভিযোগ, এরপরই গুলির শব্দ পাওয়া যায়। ছাদ থেকে তড়িঘড়ি সকলে নিচে নেমে আসেন। দেখেন রক্তাক্ত অবস্থা পড়ে রয়েছেন সব্যসাচী। ছটফট করছেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন তাঁর রাঁধুনী-সহ বেশ কয়েকজন। সব্যসাচীকে বর্ধমানের বামচাঁদায়পুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা জানান মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর।
এরপর পুলিশ ওই ব্যবসায়ীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। তদন্তে নেমে রায়না থানার পুলিশ ওই ব্যবসায়ীর গাড়িচালক, রাঁধুনী এবং বন্ধু রাজবীর সিংকে আটক করে। ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে ওই তিনজনকে জেরা করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে। কী কারণে খুন করা হল তাঁকে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ওই তিনজনকে জেরা করে ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।