বাবুল হক, মালদহ: মালদহে ফের শিশুমৃত্যু। এবার মৃত্যু হল মাত্র ৬ মাসের শিশুর। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি ছিল সে। মানিকচকের বাসিন্দা ওই শিশুটির শনিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে ৫ দিনে মোট ৭টি শিশুর মৃত্যু হল।
জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের পর মালদহেও করাল থাবা জ্বরের। অসুস্থ একের পর এক শিশু। সকলেরই উপসর্গ প্রায় এক। জ্বর, শ্বাসকষ্টে ভুগছে প্রত্যেকেই। তারা ভরতি মালদহ মেডিক্যালে। বাড়ছে প্রাণহানিও। শনিবার গভীর রাতে ফের মৃত্যু হয়েছে আরও এক শিশুর। সে মানিকচকের বাসিন্দা। এর আগে মৃত্যু হয়েছে আরও ৬টি শিশুর। সব মিলিয়ে ৫ দিনে জ্বর প্রাণ কেড়েছে সাতজনের।
[আরও পড়ুন: ‘কারও বোঝা হতে চাই না’, সুইসাইড নোট লিখে ফুলবাগানে আত্মঘাতী বৃদ্ধা]
এই পরিস্থিতিতে শিশুদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। জ্বর নিয়ে ভরতি হতে আসা কোনও শিশুকে যাতে হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে না হয় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। তাই ইতিমধ্যেই বাড়ানো হচ্ছে শয্যা সংখ্যা। এছাড়া শিশু বিভাগের চিকিৎসকদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও বাড়ছে শিশুদের জ্বরের প্রকোপ। অসুস্থ বহু। মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরে বহু শিশুই ভুগছে জ্বরে। কারও কারও রয়েছে শ্বাসকষ্টও। ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকদের। এই পরিস্থিতিতে নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। শিশুদের জ্বর, ডায়েরিয়া, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সারাদিন ৪-৫বার পালস অক্সিমিটার দিয়ে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে। শিশু সারাদিনে কতবার প্রস্রাব করছে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের। উপসর্গ বাড়াবাড়ি আকার নিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে তাকে ভরতি করতে হবে হাসপাতালে।