সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পর্ক প্রায় তিন বছরের পুরনো। তবে যুবকের পরিবার কোনওদিন এই সম্পর্ককে মানতে রাজি নয়। তাই সেই সম্পর্ক স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। পরিবর্তে অন্যত্র যুবকের বিয়ের ঠিকঠাক করে ফেলেন তাঁরা। একথা শোনামাত্রই যুবকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন কলেজ ছাত্রী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের শেখালিপাড়ায় হইচই।
কলেজ ছাত্রী জুলেখার দাবি, শেখালিপাড়ার বাসিন্দা আব্বাসউদ্দিনের সঙ্গে বছর তিনেক আগে পরিচয় হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দু’জনে। আব্বাসের পরিবার প্রেমের সম্পর্ক শুরু থেকেই মানতে নারাজ। প্রথমে জুলেখা ও আব্বাস ভেবেছিলেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সে ভাবনার সঙ্গে মেলেনি বর্তমান পরিস্থিতি। একের পর এক বছর কেটে গেলেও জুলেখাকে কোনওভাবে মেনে নিতে রাজি হননি আব্বাসের পরিজনেরা। এমনকী আব্বাসের বিয়ে অন্যত্র ঠিক হয়ে গিয়েছে বলেও খবর পান জুলেখা।
[আরও পড়ুন: ‘ছোট থেকেই খুব কাছের, আমার মাতৃসম’, মুকুলজায়া প্রসঙ্গে আবেগবিহ্বল অভিষেক]
আর সে খবর শোনামাত্রই বৃহস্পতিবার বিকেলে আব্বাসের বাড়িতে ছুটে যান জুলেখা। বাড়ির ভিতর ঢুকেও পড়েন তিনি। অভিযোগ, মারমুখী হয়ে ওঠে আব্বাসের পরিজনেরা। ওই যুবকের ভাইবোনেরা আব্বাসকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। তারপরই আব্বাসের বাড়ির সামনে পোস্টার হাতে ধরনায় বসেন জুলেখা। পোস্টারে লেখা, “বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর ধরে সব সম্পর্ক করে এখন অন্য মেয়েকে বিয়ে করবে। আমাকে বিয়ে করুক না হয় মেরে ফেলুক। না হলে আমি আত্মহত্যা করব।” এই পোস্টার হাতে জুলেখাকে ধরনায় বসতে দেখে অবাক আব্বাসের প্রতিবেশীরা। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন তাঁরা। শুরু হয়েছে ফিসফিসানিও। এ বিষয়ে যদিও আব্বাস কিংবা তাঁর পরিজনদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।