অর্ণব আইচ: সিআইডি’র মাদক (Drug) বিভাগের বড়সড় সাফল্য। ফের মাদক কারবারের পর্দাফাঁস। নদিয়ার পলাশিপাড়ার বড়নালদা থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। তার কাছ থেকে ২ কেজি ৮৫০ গ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বাজারদর প্রায় ৩ কোটি টাকা। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্তের সঙ্গে মাদক চক্রে আর কারা জড়িত ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গোপন সূত্রে তদন্তকারীরা মাদক পাচারের খবর পান। সেই অনুযায়ী সিআইডি’র (CID) মাদক বিভাগের আধিকারিকরা নদিয়ার পলাশিপাড়ার বড়নালদা এলাকায় হানা দেয়। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়। তার হাতে একটি নাইলনের ব্যাগ ছিল। ওই ব্যাগে কী রয়েছে, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। সেই প্রশ্নে রীতিমতো হকচকিয়ে যায় অভিযুক্ত। তদন্তকারীদের কাছে দেওয়া তার বয়ানে মেলে একাধিক অসংগতি। এরপর ওই ব্যাগটিতে তল্লাশি চালানো হয়। ব্যাগ থেকে তিন প্যাকেট হেরোইন উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ২ কেজি ৮৫০ গ্রাম ওজন হবে ওই মাদকের। যার বাজারদর আনুমানিক আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা।
[আরও পড়ুন: ‘ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না’, সুইসাইড নোট লিখে নাগেরবাজারে ‘আত্মঘাতী’ উঠতি মডেল]
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম জুল্লুর রহমান শেখ। প্রায় পঞ্চান্ন বছর বয়সি ওই অভিযুক্ত পলাশিপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা। ধৃতের বিরুদ্ধে এনডিপিএস অ্যাক্টে (NDPS Act) মামলা রুজু হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হবে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন তদন্তকারীরা। কার কাছ থেকে মাদক পেল, কার কাছেই বা ওই মাদক দেওয়ার কথা ছিল, এই সংক্রান্ত নানা তথ্যের খোঁজে আধিকারিকরা। ধৃতকে জেরা করে সমস্ত তথ্য সামনে আসবে বলেই আশা।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে লাক্ষাদ্বীপের কাছে মাঝ সমুদ্রে টানটান অভিযান। উদ্ধার দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের হেরোইন। আটক দু’টি নৌকা ও যাত্রীরা। উপকূলরক্ষী বাহিনীর মদতে ‘ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স’-এর এই অভিযান মাদক পাচারচক্রে যে জোর ধাক্কা, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নদিয়া থেকে বিপুল অর্থের মাদক উদ্ধার করল সিআইডি। ঘুরপথে ভিনরাজ্য থেকে আসা মাদক বাংলায় ঢুকছে না তো, উঠছে প্রশ্ন।