সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের এই সময়টায় বেশ একটা প্রেম-প্রেম গন্ধ বাতাসে। আসছে সরস্বতী পুজো, আসছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। দিনের হাজারও ব্যস্ততা, কাজের মাঝেও মনটা বেশ ফুরফুরে লাগে। কারণে, অকারণেই ফুল বা অন্য কোনও উপহার কিনে তুলে দিতে ইচ্ছা করে প্রেমিকার হাতে। এমনিতে নানা রঙের গোলাপই আকর্ষণীয়। প্রণয়ের সঙ্গে গোলাপের সম্পর্ক গভীর। অথবা জারবেরা, মল্লিকা।
চিরাচরিত গোলাপের বাইরে যারা অন্য ফুলের সন্ধান করেন, তাঁদের জন্য একরকম ফুলের হদিশ দিতে পারি। নাম – ব্লিডিং হার্ট। বাংলা করলে দাঁড়ায় – রক্তাক্ত হৃদয়।গাঢ় গোলাপি, বেগুনি বা সাদা রঙের ফুল, আকারে ঠিক যেন হৃদয়। তাতে রক্তক্ষরণের চিহ্ন স্বরূপ দুটি পাঁপড়ি একটু বাইরে বেরোনো। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, হৃদয় ফুঁড়ে রক্তপাতের ছবি। ফুলের রঙের জন্য তা আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ঠিক এই সময়ে অর্থাৎ শীতের শেষ এবং বসন্তের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কানাডার বেশ কয়েকটি অংশে কুঁড়িদশা কাটিয়ে পূর্ণাঙ্গ রূপ নিতে থাকে ব্লিডিং হার্ট। ঘন সবুজ পাতার মাঝে একটি বড় হৃদপিণ্ডের আকারের ফুল শোভা পায় গাছে। ব্লিডিং হার্টের বাগান দেখলে, দু’দণ্ড দাঁড়িয়ে না দেখে পারবেন না। এতই তার আকর্ষণ। মনে মনে ভাবতে শুরু করবেন, প্রিয়তমার হাতে দারুণ মানাবে ফুলটি। খবরদার! এ’কথা ভুলেও ভাববেন না। কারণ, এই ফুলের কুখ্যাতি আছে ‘অ্যান্টি ভ্যালেন্টাইন ফ্লাওয়ার’ হিসেবে।
অনুমতি ছাড়া কেন জন্ম দিয়েছেন? মা-বাবার বিরুদ্ধে আইনি পথে সন্তান
এত সৌন্দর্যের পরও ব্লিডিং হার্টের নামের মতোই বিয়োগান্তক নিয়তি তার। গোটা শরীর তার ভরা বিষে। বৃন্ত থেকে পাঁপড়ি, দল – সবেতেই বিষ জর্জর। একবার ত্বকের সংস্পর্শে এলে বিপদ। এলার্জি, অস্বস্তি, লাল হয়ে যাওয়া – এসব উপসর্গ দেখা দিতে থাকবে। তারপর ধীরে ধীরে বিষ ছড়িয়ে পড়বে সারা শরীরে। অথবা বমি-বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট। অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময়ে পেরিয়ে যাবে। এককথায় ব্লিডিং হার্ট না-ভালোবাসার ফুল, ক্ষতিকারক ফুল। তাই ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র সময় শত ফুল বিকশিত হওয়া নিতান্তই প্রাকৃতিক ঘটনা মাত্র। ভালোবাসার নিবেদনে তার কোনও অস্তিত্বই নেই।
The post শরীরে আকর্ষণ, ছুঁতেই বিষ! সুন্দরী ফুলের ট্র্যাজিক কাহিনি appeared first on Sangbad Pratidin.