দেবব্রত দাস, ইন্দাস: শ্বশুরবাড়িতে পুড়ে মৃত্যু বাউলশিল্পীর। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাসের ফতেপুরে। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, খুন করা হয়েছে মহিলাকে। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সুশীলা দাস (৩০)। বাউল শিল্পী হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত ছিলেন তিনি। প্রচুর অনুষ্ঠান করতেন। শনিবার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়িতে থাকাকালীন আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় ইন্দাসের ফতেপুরে। ছুটে যান মহিলার বাপের বাড়ির সদস্যরা। খবর পেয়ে দেওয়া হয় থানায়। রবিবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (Bishnupur Super Speciality Hospital) পাঠায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বঞ্চিতরা ডাকলেই পাশে থাকব’, ফের ‘বিক্ষুব্ধ’দের সঙ্গে পিকনিক শান্তনু ঠাকুরের]
মৃতার বাবা জগন্নাথ দাস বৈরাগী বলেন, “আমার মেয়ে বাউল গান করত। বহু জায়গায় যেত অনুষ্ঠানের জন্য। সেই সূত্রে অনেকের সঙ্গে সুশীলার পরিচয় ছিল। ওর ননদ এটা নিয়ে নানারকম কটূক্তি করত। ওরা মোটও বিষয়টা ভালভাবে নিত না। শনিবার রাতে বাড়িতে মেয়ের সঙ্গে জামাই, ননদের চরম অশান্তি হয়েছে। আমার সন্দেহ ওরা আমার মেয়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মেরেছে।”
ইন্দাস থানার ওসি সোমনাথ পাল বলেন, “ফতেপুর গ্রামে শনিবার গভীর রাতে আগুনে পুড়ে সুশীলা দাস নামে এক বধূর মৃত্যু হয়েছে। ওই বধূর স্বামীও গুরুতরভাবে পুড়ে গিয়েছেন। তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুরে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। এ ব্যাপারে কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও ওই বধূর শ্বশুরবাড়ির তরফে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।