সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসক সাজতে গিয়ে সোজা পুলিশের জালে এক ফল বিক্রেতা। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাগপুরে এক ফল বিক্রেতার বিরুদ্ধে ডাক্তার সেজে করোনার (Corona) চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের নাম চন্দন নরেশ চৌধুরী বলে জানা গিয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে সে ফল, আইসক্রিম বিক্রি করত। পরে ইলেক্ট্রিসিয়ানের কাজও করে। এবার করোনার সুযোগ নিয়ে চিকিৎসক সেজে লোক ঠকানো আরম্ভ করে। তার পর সেখান থেকে সোজা পুলিশ লকআপে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দন নরেশ চৌধুরী নাগপুরে ‘ওম নায়ায়ণ মাল্টিপার্পাস সোসাইটি’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালায়। যেখানে আয়ুর্বেদিক ন্যাচেরোপ্যাথি চিকিৎসা করা হত। গত ৫ বছর ধরে এই সংস্থা চলছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় ১৬ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে রইল করোনায় মৃতের দেহ! ক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা]
করোনার প্রকোপ শুরু হতেই আরও কিছু পয়সা আয় করার ফন্দি করে চন্দন। সেই মতো করোনার চিকিৎসক সেজে বসে সে। কয়েক জন রোগীও জুটে যায়। কিন্তু কাল হল চন্দনের কয়েক জন পরিচিত। যাঁরা চন্দনকে ফল, আইসক্রিম বিক্রি করতে দেখেছেন, ইলেক্ট্রিয়ান হিসাবেও চেনেন, এই করোনাকালে হঠাৎ তার চিকিৎসক হয়ে বসার খবর পৌঁছে দেন প্রশাসনের কাছে।
[আরও পড়ুন: চুল্লির রক্ষণাবেক্ষণে জোর, আগামী ৪৮ ঘণ্টা নিমতলায় শুধুমাত্র করোনায় মৃতদের সৎকার]
জেলা পুলিশের একটি দল চন্দনের ‘চিকিৎসালয়ে’ হাজির হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বুঝতে পারে চন্দন ভুয়ো ডাক্তার। সেখানেই তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র প্র্যাক্টিসনার্স অ্যাক্টে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ তার ডাক্তারখানা থেকে বেশ কয়েকটি অক্সিজেন সিলিন্ডারও বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রচুর সিরিঞ্জ, ওষুধ এবং আরও বেশ কিছু চিকিৎসার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। পুলিশ এখন তদন্ত করে দেখছে চন্দন এই সুযোগে কার কার, কী কী চিকিৎসা করেছে। এবং সেই সব রোগীরা কী অবস্থায় রয়েছেন। যদি গুরুতর কিছু হয়ে বসে তবে চন্দনের বিরুদ্ধে আরও বড় ধারায় মামলা রুজু হতে পারে।