বাবুল হক, মালদহ: দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের চাঁচোল মহকুমা এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার প্রেমিক ও তার দুই সঙ্গীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বাকি অভিযুক্তের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে চাঁচোল থানার পুলিশ।
অভিযোগ, মোট পাঁচজন মিলে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার রাতে গণধর্ষণ করে। নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের তরফে শুক্রবার মালদহের (Maldah) চাঁচোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দামাইপুর এলাকার এক যুবকের সঙ্গে মাসকয়েক আগে স্থানীয় স্কুলে দশম শ্রেণিতে পাঠরত ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার ওই যুবক ফোন করে তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এ-ও জানায়, বিয়ের বিষয়ে দু’জনে কথা বলবে। যুবকের বাইকে চেপে মেয়েটি ঘুরতে বেরোয়।
অভিযোগ, কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর তাকে একটি ইটভাটার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রেমিক ও তার চার সঙ্গী মিলে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে। চাঁচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চাঁচোল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, “তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।”
[আরও পড়ুন: আসানসোলে জাতীয় সড়কে দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুন, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ৩]
দিনকয়েক আগে মালদহের মঙ্গলপুরায় বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হন এক আদিবাসী তরুণী। হেনস্তা করা হয় তাঁর বোনকেও। ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই শোকে মৃত্যু হয় নির্যাতিতাদের মায়ের। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজন। তবে তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই চাঁচোলের ঘটনায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।