অর্ণব দাস, বারাসত: মাত্র ১৪ বছর বয়সি নাবালিকাকে হাবড়া থেকে অপহরণ করে দেগঙ্গায় তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের উত্তর বরুনি এলাকায়। নির্যাতিতা বারাসতের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পরিবারের তরফে শুক্রবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়ি দেগঙ্গার উত্তর বরুনি এলাকাতে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে বারাসত পুলিশ জেলা সুপার রাজ নারায়ন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত চলছে, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নাবালিকার বাড়ি হাবড়া থানার রাউতারা পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মালি গ্রামে। সে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় পাড়ার একটি মুদিখানার দোকানে ডিম কিনতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে বাইকে করে কয়েকজন যুবক এসে তার পথ আটকায়। তারপর তাকে জোর করে বাইকে তুলে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের উত্তর বরুনি এলাকার একটি পেঁপে খেতে নিয়ে যায়। সেখানেই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় নাবালিকাকে সেখানেই ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।
[আরও পড়ুন: ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে স্ত্রীর মুণ্ডহীন দেহ, ‘আমি খুন করেছি’, প্রতিবেশীদের নিজেই জানালেন স্বামী]
এদিকে, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরার খোঁজ শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। শেষে আনুমানিক রাত ১১টার পর বাড়ির লোকেরা জানতে পারে দেগঙ্গার উত্তর বরুনি এলাকার একটি পেঁপে খেতে পড়ে রয়েছে নাবালিকা। তারপর তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বারাসত হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। নাবালিকার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “মেয়ে সন্ধেয় পাড়ার একটি দোকানে গিয়েছিল। বাড়ি না ফেরায় তার খোঁজ শুরু করি। পরে দেগঙ্গার উত্তর বরুনি এলাকার গ্রামবাসীরা ফোন করে মেয়ের খোঁজ দেয়। গিয়ে দেখি পেঁপে খেতে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়ে পড়ে রয়েছে। তার সঙ্গে পাশবিক অত্যাচার করেছে। যারা এই কাজটি করেছে, তারা কেউ পরিচিত নয়। আমি অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”