নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মেলা দেখে ফেরার পথে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। বাড়ি ফেরার পর লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা নির্যাতিতার। বীরভূমের নানুরের সাঁওতা গ্রামের ঘটনা। বর্তমানে ওই কিশোরী বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বীরভূমের নানুর থানার সাঁওতা গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরীকে। তার বাবা-মা পেশায় দিনমজুর। বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে কীর্ণাহারে একটি মেলা চলছিল। শনিবার সন্ধেয় নিজের স্কুটি চড়ে ওই মেলা দেখতে গিয়েছিল নাবালিকা। মেলা দেখে ফেরার পথে সা বাড়ি পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবেই ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, সা বাড়ির অদূরে রাস্তার মাঝে চারজন যুবক তার পথ আটকায়। এরপরই মুখে কোনও গ্যাস ছেটানো হয়। বেহুঁশ হয়ে পড়ে নাবালিকা। সেই সুযোগে তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলেই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: পুজোর মুখে আরও ভয়াবহ ডেঙ্গু, পরীক্ষার খরচে রাশ টানতে কড়া স্বাস্থ্যদপ্তর]
এরপর রাতভর আর বাড়ি ফিরতে পারেনি সে। এদিকে, মেয়ে বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজখবর। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে বাড়ি ফেরে কিশোরী। সে জানায়, মুখে গ্যাস ছেটানোর পর জ্ঞান হারায়। রাতে অচেতনই ছিল। তাই বাড়ি ফিরতে পারেনি। সকালে জ্ঞান ফেরার পর দেখে ফাঁকা এলাকায় সে পড়ে রয়েছে। পাশেই পড়ে তার স্কুটি ও মোবাইল। কোনওরকমে উঠে স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফেরে ছাত্রীটি।
বাড়ি ফেরার পর সমস্ত বিষয়টি সে তার পরিবারকে জানায়। এরপর নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করতে থাকে। ঘরে ঢুকে চমকে যান তাঁরা। দেখেন গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে নাবালিকা। পরিবারের লোকজন দেখে ফেলায় প্রাণ বাঁচে তার। তবে অসুস্থ অবস্থায় নাবালিকাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে নাবালিকার।
জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, ধর্ষণের কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। তবে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে তার। পুলিশের একাংশ মনে করছে, ধর্ষণের ঘটনা হয়তো ঘটেনি। রাতে বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন কিশোরীকে বকাঝকা করেন। আর তার জেরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।