অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: জিএনএলএফ নেতা তথা কালিম্পং-এর প্রাক্তন কাউন্সিলর রোশন লামার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য পাহাড়ে। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista) অবশ্য খুনের অভিযোগ করেছেন। একইভাবে জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিংও তাঁদের নেতা খুন হয়েছে বলেই দাবি করেন। এদিকে এই ঘটনায় কালিম্পং থানার পুলিশ ছিরিং শেরপা নামক এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। গোটা ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে। মন ঘিসিং বলেন, “আমি চাই পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে সত্যটা সামনে আনুক। রোশনকে যারা খুন করেছে তাদের সাজা দেওয়া হোক।”
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে কালিম্পং থেকে মংসংয়ের উদ্দেশ্যে পরিবার সমেত রওনা দেয় জিএনএলএফ নেতা রোশন লামা। রোশনের সঙ্গে তার স্ত্রী ও মেয়ে ছিল। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ লাভার কাছে একটি বাইকের সঙ্গে রোশনের গাড়ির সংঘর্ষ হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানেই তুমুল বচসা শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। বচসা থেকেই শুরু হয় হাতাহাতি। রাস্তার পাশেই রোশন লামা ও বাইক আরোহী ছিরিং শেরপার তুমুল হাতাহাতি হতে হতেই ৫০ থেকে ৬০ ফুট নীচে খাদে পড়ে যায় জিএনএলএফ নেতা রোশন লামা। ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় বাইক আরোহী। তার স্ত্রী বাড়িতে খবর দিলে পরিবারের লোকজন এসে খাদ থেকে উদ্ধার করে রোশনকে। কিন্তু সেখান থেকে কালিম্পং জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
[আরও পড়ুন: বিজেপি নেতা ‘খুনে’ রাজ্যকে তুলোধোনা শুভেন্দুর, বুধবার ময়নায় ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক]
এপ্রসঙ্গে রোশন লামার ভাই ভুষন লামা বলেন, “কালিম্পং থেকে বাড়ি ফিরছিল। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট নয়। তবে খুন কিনা তা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। আমার এবিষয়ে কিছু বলার নেই।” অন্যদিকে বিজেপি সমর্থিত জিএনএলএফ নেতার মৃত্যুকে ঘিরে খুনের অভিযোগ তুলছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি ট্যুইটে লেখেন, “আমি গভীরভাবে শোকাহত প্রবীন জিএনএলএফ নেতার মৃত্যুর জন্য। তার পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আমি নিশ্চিত পরিকল্পিতভাবে এই খুন করা হয়েছে। আশা রাখব প্রশাসন এই খুনের সঠিক এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করবে।” ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এপ্রসঙ্গে কালিম্পং জেলার পুলিশ সুপার অপরাজিতা রাই বলেন, “সোমবার রাতের ওই ঘটনার পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে বাইক আরোহীকে আটক করেছে পুলিশ। লাভা থানায় ইতিমধ্যে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”