সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: বহু বছর ধরে লটারি কাটার নেশা। একবার লটারিতে টাকাও মিলেছে। তবে সেই প্রথম ও শেষ। তার পর থেকে আর ভাগ্যের শিঁখে ছেড়েনি। লটারি কাটার পর টাকা না মেলায় অবসাদে ভুগছিলেন। সেই অবসাদ থেকেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক তাঁত শ্রমিক। এমনটাই মনে করছেন পরিবারের লোকরা।
[আরও পড়ুন: মোদির সভার দিন ১৫টি ছাত্র সংগঠনের মিছিল শহরে, তীব্র যানজটের আশঙ্কা]
মৃত রঞ্জন বসাকের বাড়ি নদিয়ার ফুলিয়া(Phulia) বাস স্ট্যান্ড পাড়া এলাকার। বয়স ৬১ বছর। রবিবার রাতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না মৃত ব্যক্তিকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের লোকেরা দেখেন বাড়ির পাশেই একটি চালার নিচে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে দেহ।
[আরও পড়ুন: বিয়ের আগেই আত্মঘাতী ছাত্রী! পাত্র পছন্দ না হওয়াতেই চরম সিদ্ধান্ত?]
মৃতের ছেলে সঞ্জয় বসাক জানান, তাঁর বাবা দীর্ঘদিন ধরে লটারি কাটায় অভ্যস্ত ছিলেন। একবারই শুধু লটারির টাকা পেয়েছেন। তার পর থেকে আরও লটারি কাটার নেশা বেড়ে যায় তাঁর। কিন্তু বার বার লটারি কাটলেও টাকা পাননি। টাকা না পেয়ে মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে পড়েন রঞ্জনবাবু। লটারির টাকা না পেয়ে এই আত্মহত্যা বলে দাবি করেছেন ছেলে সঞ্জয়। আজ, সোমবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট (Ranaghat) পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। অন্যদিকে ব্যক্তির এই আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় হতবাক পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা।