শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: দাবি মতো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই পরিবারের। সেই কারণেই সদ্যোজাতকে ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (Raiganj Government Medical College And Hospital)। পুলিশ ও ব়্যাফের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে পরিস্থিতি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভরতি খুদে।
জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) হাতিয়ার পাঠানতুলির বাসিন্দা খুদের পরিবার। বাবা মাসুদ আলি কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ধরে কেরলে থাকেন। দিন বারো আগে বাড়ি ফেরেন তিনি। শনিবার স্ত্রী মেহরুল বেগমকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করেন মাসুদ। রবিবার একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। সোমবার সকালে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের এক স্বাস্থ্যকর্মীর কোলে ছিল খুদে। সেই সময় পরিবারের কাছে এক হাজার টাকা দাবি করে স্বাস্থ্যকর্মী। শিশুটির বাবা জানান, তাঁর পক্ষে এতটাকা দেওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগ, তখনই সদ্যোজাতকে কোল থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় সে। গুরুতর জখম হয় শিশুটি। তড়িঘড়ি আইসিইউতে পাঠানো হয় তাকে।
[আরও পড়ুন: পামেলাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ, পুলিশের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার হুমকি রাকেশ সিংয়ের]
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল। শিশুর পরিবার ও অন্যান্য রোগীর পরিবারের সদস্যরা জড়ো হন প্রসূতি বিভাগে। ভাঙচুরের চেষ্টা করে উত্তেজিতরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ও ব়্যাফ। পুলিশের সামনেও বেশ কিছুক্ষণ চলে অশান্তি। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। মাসুদ আলির কথায়, “আমার টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই, সেটাই জানিয়েছিলাম। আমার বাচ্চাকে ছুঁড়ে ফেলে দিল স্বাস্থ্যকর্মী।” হাসপাতালের বিরুদ্ধ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন খুদের পরিবারের সদস্যরা। এবিষয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। হাসপাতালের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”