রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: বাড়ি ও টাকা নিয়ে অশান্তির জেরে বৃদ্ধাকে ঘর ছাড়া করেছিল ছেলে, পুত্রবধূ, নাতিরা। আদালতের নির্দেশে ঘরে ফিরছেন বৃদ্ধা। সেই সঙ্গে ঘরছাড়া হল ছেলে-বউমা, নাতিরা।
বিষয়টা ঠিক কী? বৃদ্ধার আইনজীবী মৃন্ময় দত্ত জানান, বেতাই উত্তর জিৎপুরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার নাম পুষ্পরানী বালা। তাঁর তিন ছেলে, এক মেয়ে। ১৯৮৯ সালে বৃদ্ধার স্বামী আদিত্য বালার মৃত্যু হয়। তিনি পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক ছিলেন। তিন ছেলে ও এক মেয়েকে খুব কষ্ট করেই মানুষ করেন। মেয়ের বিয়ে দেন। দুই ছেলে কাজের সুত্রে বাইরে থাকেন। এক ছেলে বিদ্যুৎ বালা তাঁর পরিবার নিয়ে ওই বৃদ্ধার সঙ্গেই থাকতেন। বৃদ্ধার অভিযোগ, তাঁকে মারধর করে পেনশনের টাকা কেড়ে নিত ওই ছেলে, বউমা ও নাতিরা। এর প্রতিবাদ করায় ওই বৃদ্ধাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বেশ কিছুদিন পথে পথে ঘুরে চেয়ে-চিন্তে খেয়ে শেষে মেয়ের কাছে আশ্রয় নেন ওই বৃদ্ধা।
[আরও পড়ুন: নিঝুম রাতে আমগাছে অশরীরী! সিভিক ভলান্টিয়াররা পিছু নিতেই উধাও, আতঙ্কে কাঁটা বান্দোয়ান]
এরপর ওই বৃদ্ধা আদালতের কাছে আবেদন করেন যেন তাঁকে নিজের বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয়। সেই মতো আদালতে মামলা করা হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারক নির্দেশ দেন বৃদ্ধাকে ঘরে ফেরানোর। বৃদ্ধার ছেলে, বউমা ও নাতিদের বের করে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কুড়ি দিনের মধ্যে বৃদ্ধাকে ঘরে ফিরিয়ে পুলিশকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। আদালতের নির্দেশ খুশি পুষ্পরানী বালা। তিনি বলেন, “অবশেষে আমি আমার স্বামীর ভিটেয় শেষ জীবনটা কাটাতে পারব। ছেলে-বউমার অত্যাচার থেকে বাঁচব।”