নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া দেবীপুরে।

চাঁদপাড়া ঢাকুরিয়ার বিশ্বনাথ শীলের মেয়ে ২৫ বছরের পায়েলের বিয়ে হয় চাঁদপাড়া দেবীপুর বাসিন্দা কানাই রায়ের সঙ্গে। ১ বছর ৮ মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের সাত মাসের একটা পুত্র সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের টাকার জন্য ওই গৃহবধূর উপর অত্যাচার চালত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীরা মোবাইলে পায়েলের মৃত্যু সংবাদ জানায় ঢাকুরিয়ায় পায়েলের বাপের বাড়িতে। স্বামী কানাই রায়, শাশুড়ি সাবিত্রী রায়, ননদ পম্পা রায় ও জামাই সুবীর কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। গতকাল রাতে এই চারজনের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
[ আরও পড়ুন: প্রবল বর্ষণে পরপর দুর্ঘটনা কলকাতায়, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা ]
জানা গিয়েছে, বিয়েতে মেয়েকে সোনার গয়না তো দিয়েইছিলেন বিশ্বনাথ শীল। সঙ্গে টিভি, সোকেস, খাট থেকে শুরু করে নগদ টাকাও দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, এর পরেও জামাইয়ের রেলে চাকরির জন্য তাঁকে চাপ দিয়ে বিভিন্ন ধাপে তিন লক্ষ টাকা নেয় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাও আশ মেটেনি। দীর্ঘদিন ধরেই পায়েলের উপরে অত্যাচার করত তারা। বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হত মেয়ের উপর। স্বামী, শাশুড়ির, ননদ ও ননদাই সবাই অত্যাচার চালাত বলে খবর। শুক্রবার রাতে পায়েলের বাবা বিশ্বনাথ শীল তাদের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় লিখিতভাবে খুনের অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে স্বামী কানাই রায়, শাশুড়ি সাবিত্রী রায় ও ননদ পম্পা বিশ্বাসকে পুলিশ আটক করে তদন্ত চালাচ্ছে।
[ আরও পড়ুন: যুবককে মারধর করেছে পাশের গ্রামের লোকজন, অভিযোগে রাস্তা কাটল প্রতিবাদীরা ]
The post পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ, আটক স্বামী-সহ ৩ appeared first on Sangbad Pratidin.