সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলায় পাক মদতের বিষয়টি জোরালো হতেই বাতাসে যুদ্ধের গন্ধ! বুধবার সেনা সর্বাধিনায়ক এবং তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) নিরীহ পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলার (Terror Attack) পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে কি পালটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হতে পারে?
মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায় (Terror Attack) রক্তাক্ত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu-Kashmir)। ভূস্বর্গের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটককে খুন করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। গতকালের হামলায় সবচেয়ে বড় আঘাত এসেছে কাশ্মীরের অর্থনীতির চালিকা শক্তি পর্যটন ব্যবসায়। রাতেই পহেলগাঁও-সহ উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লস্করের ‘ছায়া সংগঠন’ টিআরএফ গতকালই হামলার দায় স্বীকার করেছে। বুধবার সকালে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপরই এক্স হ্যান্ডলে হুঙ্কার দেন, ‘ভারত সন্ত্রাসের কাছে নতি স্বীকার করবে না। রেহাই পাবে না এই নৃশংস জঙ্গি হামলার অপরাধীরা।’ জঙ্গিদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
এরপর বুধবার সকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে পহেলাগাঁও এবং কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানান সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পদাতিক, বিমান এবং নৌবাহিনীর প্রধানরাও। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে নৌবাহিনীর এক আধিকারিকেরও। বর্তমানে গোটা দেশে শোকের আবহাওয়ার মধ্যেই বদলার ধিকিধিকি আগুন । এই অবস্থায় প্রাথমিক ভাবে গোটা উপত্যকায় জঙ্গিদের খোঁজে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি। সেনা-পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালাচ্ছে। এইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখায় নিরাপত্তা বাড়িয়ে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে সেনাকর্তাদের বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
