সৈকত মাইতি, তমলুক: মহিলার স্নান করার সময় গোপনে বাথরুমে ঢুকে ফটোশুট! তা আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। প্রতিবেশী বৃদ্ধের এহেন আচরণে অপমানে আত্মঘাতী তমলুকের গৃহবধূ। এমনই অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ মৃতার স্বামী।
তমলুকের উত্তর সোনামুইয়ের বাসিন্দা এক ব্যক্তির স্ত্রী ১৪ অক্টোবর রাতে শৌচালয়ে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় প্রতিবেশী বৃদ্ধ জগন্নাথ মাকড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। মৃতার পরিবারের দাবি, পেশায় ঠিকাদার জগন্নাথের ইন্ধনেই গ্রামের গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
[আরও পড়ুন: মেট্রোয় জনজোয়ার! যাত্রীর নিরিখে গত বছরের ষষ্ঠীর রেকর্ড ভাঙল তৃতীয়া]
তমলুক থানার দারস্থ হন বধূর স্বামী। তাঁর অভিযোগ, লকডাউনের সময় চা খাওয়ার বাহানায় বাড়িতে আড্ডা দিতে আসত জগন্নাথ। স্ত্রীকে একা পেলেই উত্যক্ত করত। এমনকি স্নান করার সময় গোপনে নানাভাবে মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করত। পরবর্তী সময়ে সেগুলিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিত।
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশি সভাও বসে। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। স্বভাবতই এমন ঘটনায় মানসিক অবসাদে ভেঙে পড়েন ওই বধূ। আর তাতেই মানসিক অবসাদে ভেঙে পড়েন তিনি। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বধূর স্বামী। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি জগন্নাথের। তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।