ধীমান রায়, কাটোয়া: মালদহের পর পূর্ব বর্ধমান। ফের পাশের দাবিতে আন্দোলন করা উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য ছাত্রীর আত্মহত্যা। বুধবার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পাশ করতে না পারায় আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা কলেজ মোড় এলাকার বাসিন্দা মুজিবুর শেখ ও রাজেমা বিবি শেখের দুই ছেলে, এক মেয়ে। একমাত্র মেয়ে রাজিয়া গুসকরা বালিকা বিদ্যালয় থেকে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। ফলঘোষণার পর দেখা যায় ইংরেজি-সহ দু’টি বিষয়ে পাশ করতে পারেনি রাজিয়া। মুজিবুর শেখ বলেন,”বুধবার সকালে যখন কাজে বেরিয়ে যাই তখন দেখি মেয়ে বই বের করে পড়ছে। পরে খবর পেয়ে বাড়িতে আসি। দেখি মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে। পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। মানসিক হতাশায় ভুগছিল। তবে এমন করবে ভাবিনি।” নিজের ঘরে পড়তে বসার পরে সবার নজর এড়িয়ে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন রাজিয়া। পুলিশ খবর পেয়ে বাড়িতে পৌঁছয়। ছাত্রীকে উদ্ধার করে গুসকরা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: Baishakhi-Sovan: ‘দিদির সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে’, তৃণমূলে ফেরার জল্পনা আরও উসকে দিলেন শোভন-বৈশাখী]
ছাত্রীর মা বলেন, “পরীক্ষার রেজাল্ট বেরনোর আগে পর্যন্ত মেয়ে বলত পাশ করবে। বর্ধমানের কলেজে ভরতির স্বপ্ন দেখছিল। পাশ করতে না পারায় মেয়ে ভেঙে পড়েছিল। গুসকরায় যখন আরও অনেক ছাত্রছাত্রী পাশ করানোর জন্য আন্দোলন করছিল তখন আমার মেয়েও ছিল। তবে কোনও লাভ না হওয়ায় চরম সিদ্ধান্ত নেয়।”
উল্লেখ্য, এর আগে মালদহের আর এন রায় গার্লস স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শম্পা হালদারও ঠিক একই কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। রেজাল্ট পাওয়ার পরই মালদহের শিক্ষা দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন শম্পা। এই ঘটনার পর গত শনিবার তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার ছাত্রীর পরিণতিও হল একই।