সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুদিনের রাশিয়া সফর সেরে অস্ট্রিয়া পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ৪১ বছর পর প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সেদেশের রাজধানী ভিয়েনায় পা রেখেছেন নমো। বিমানবন্দরে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁকে। এর পর মোদির সঙ্গে দেখা করেন চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার। দুজনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সৌজন্য বিনিময় করেন। নেহামার সঙ্গে খোশ মেজাজে সেলফিতে ধরা দেন মোদি।
মঙ্গলবার রাশিয়া থেকে অস্ট্রিয়া যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান, অস্ট্রিয়ার বিদেশমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ। এর পর নমোর সঙ্গে দেখা করেন নেহামার। অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরকে দেখে জড়িয়ে ধরেন মোদি। সেলফিতেও ধরা দেন। এরপর দুজনে একসঙ্গে নৈশ্যভোজ সারেন। বুধবার তাঁদের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন রাতে সেনিয়েই কথা হয় নেহামার-মোদির মধ্যে। ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ 'বন্ধু' ও 'সহযোগী' উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলে নেহামার লেখেন, 'ভিয়েনায় স্বাগত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আপনাকে অস্ট্রিয়ায় স্বাগত জানাতে পেরে আমরা আপ্লুত। ভারত ও অস্ট্রিয়া বন্ধু ও সহযোগী। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে আলোচনা করার জন্য আমি খুবই আগ্রহী।'
অস্ট্রিয়ায় পৌঁছে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে উচ্ছ্বসিত মোদিও। নেহামারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'ভারত ও অস্ট্রিয়ার বন্ধুত্ব খুবই মজবুত। আগামিদিনে এই বন্ধন আরও মজবুত হবে। বিশ্বের মঙ্গলের জন্য আমরা একযোগে কাজ করব।' প্রায় চার দশক পর ইউরোপের এই দেশটিতে ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রেখেছেন। যা নিয়ে বেজায় খুশি অস্ট্রিয়ার প্রবাসী ভারতীয়রা। যে হোটেলে মোদি রয়েছেন সেখানে তাঁর বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অস্ট্রিয়া তাদের সঙ্গীত সংস্কৃতির জন্য বিশ্বে খ্যাত। মঙ্গলবার মোদির সামনে 'বন্দে মাতরম' গানটি পরিবেশন করেন শিল্পীরা। যা মন কেড়েছে নমোর। সেই গানের ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি। রয়টার্স সূত্রে খবর বুধবার অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভ্যান ডের বেলেনের সঙ্গেও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে মোদির।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শেষ বার অস্ট্রিয়ায় গিয়েছিলেন। নেটো-র সদস্য দেশ নয় অস্ট্রিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের মাঝেও নয়াদিল্লির মতো রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বহাল রেখেছে ভিয়েনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও ভারত ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে কথা হতে পারে। দুদেশ মিলিতভাবে শান্তি ফেরানোর পথ খুঁজতে পারে। তাছাড়া মোট ৩৫টি ভারতীয় প্রযুক্তি সংস্থা রয়েছে অস্ট্রিয়ায়। ভারতে স্টার্ট আপ, উৎপাদন ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোই প্রধানমন্ত্রীর সফরের লক্ষ্য। এই সকল বিষয় নিয়েই হয়তো অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি।