সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের বাড়িতেই খুন হলেন কর্নাটকের (Karnataka) খনি ও ভূতত্ত্ব দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর। শনিবার রাতে স্বামী ও ছেলের অনুপস্থিতিতে কুপিয়ে খুন করা হয় প্রতিমা নামের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিককে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) সুব্রমন্যাপোরা এলাকার বাড়িতে গত আট বছর ধরে থাকছিলেন ৪৫ বছরের প্রতিমা এবং তাঁর পরিবার। শনিবার বাড়ি ছিলেন না খনি ও ভূতত্ত্ব দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টরের স্বামী এবং ছেলে। তাঁরা শিবমোগা জেলার তীর্থহল্লিতে গিয়েছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় কাজের পর প্রতিমাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন ড্রাইভার। এদিন রাতে খুন হন তিনি।
[আরও পড়ুন: জন্মদিনে নতুন জন্ম শাহরুখের, ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ পোশাক ছেড়ে ‘ডাঙ্কি’তে বাদশার কোন অবতার?]
রবিবার সকালে বাড়িতে আসেন প্রতিমার ভাই। তিনি দেখেন বোনের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। দ্রুত পুলিশে খবর দেন তিনি। এর পরই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। প্রতিমার ভাই জানান, শনিবার রাতে বারবার ফোন করলেও বোন ফোন ধরেনি। এর পরেই সকালে বাড়িতে আসেন। দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর ডিসিপি রাহুল কুমার শাহাপুরওয়াদ বলেন, ফরেনসিক এবং পুলিশের অন্য একটি দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। তদন্তের জন্য তিনটি টিম গঠন করা হয়েছে। দরকারি তথ্য হতে এলেই পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে জানানো হবে।
[আরও পড়ুন: মণিপুরে ফের অস্ত্রাগার লুন্ঠনের চেষ্টা, মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের বাংলোর কাছেই অরাজকতা]
উচ্চপদস্থ রাজ্য সরকারি আধিকারিকের হত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে সবে জেনেছি। আমরা এর তদন্ত করব। সম্ভবত উনি একাই ছিলেন (বেঙ্গালুরুতে), স্বামী নিজের গ্রামে গিয়েছিলেন। কারণ (হত্যার) এখনও জানা যায়নি।”