সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যক্তিগত কারণে জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন এক আদিবাসী তরুণী। খাঁড়া পাহাড় থেকে ঝাঁপ দেবেন বলে পৌঁছে গিয়েছিলেন খাদের ধারে। শেষ পর্যন্ত চরম সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। ফিরে আসেন জীবনে। সৌজন্যে এক পুলিশকর্মী। তরুণীকে বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খালি পায়ে পাহাড় চড়েন ওই পুলিশকর্মী। কোনওমতে বুঝিয়ে তরুণীকে ঘরে ফেরান তিনি। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশকর্মীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে নেটিজেন।
ঘটনাটি কেরালার (Kerala) উদুক্কির কুথিরালামের পাহাড়ি এলাকার। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ আদিমালি পুলিশ স্টেশনের সাব ইন্সপেক্টর কেএম সন্তোষের (K M Santosh) কাছে খবর আসে, বছর ছাব্বিশের এক আদিবাসী তরুণী প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করতে স্থানীয় পাহাড়ে উঠেছেন। যা জানার পরেই সহকর্মী আব্বাস টিএম-কে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান সন্তোষ। দেখেন, খাদের ধারে বিপজ্জনক জায়গায় বসে তরুণী।
[আরও পড়ুন: মৌর্য-গুপ্ত-পাণ্ডদের নয়, মুঘলদেরই গুরুত্ব দিয়েছেন ইতিহাসবিদরা, মন্তব্য অমিত শাহর]
ততক্ষণে ওই পাহাড়ে তরুণীর আত্মীয়রাও পৌঁছে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদেরকে কাছে এগোতে দিচ্ছিলেন না তরুণী। এগোলেই ঝাঁপ দেবেন, বলে দেন। এরপরেই খালি পায়ে নিঃশব্দে পাহাড়ে উঠতে শুরু করেন পুলিশকর্মী কেএম সন্তোষ। রীতিমতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেয়েটির ফুট পাঁচেক দূরত্বে পৌঁছে যান। তরুণীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। শুরুতে পাত্তা দিচ্ছিল না সে। ধীরে ধীরে কথা বলা শুরু করে।
[আরও পড়ুন: সত্যি বললেই অপরাধী! হজরত মহম্মদ বিতর্কে নাম না করে নূপুর শর্মাকে সমর্থন সাধ্বী প্রজ্ঞার]
সন্তোষ বলেন, “আমি ওকে বলি, আমিও দুই মেয়ের বাবা। তোমার সমস্যার সমাধান করব। মেয়েটি শেষ পর্যন্ত আমার কথা মানে।” এরপর প্রায় ঘণ্টা খানেক তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন পুলিশকর্মী। তরুণীকে পরে থানায় নিয়ে এসে কাউন্সিলিংও করা হয়। সেই সময় তরুণী জানায়, ব্যক্তিগত কারণে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার থানা থেকে বাড়ি ফেরার আগে তরুণী পুলিশকে কথা দেয়, মাথা উঁচু করে বাঁচবে সে। যে বা যারা তাঁকে প্রতারিত করেছে, তাদের পাত্তা দেবে না। গোটা ঘটনায় নায়ক সাব ইনসপেক্টর কেএম সন্তোষকে অভিনন্দন জানিয়েছে কেরালা পুলিশ। পুলিশকর্মীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেন।