রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: লাভ জিহাদের (Love Jihad) ছায়া নদিয়ায়। ভিনধর্মের নাবালিকার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন যুবক। পরিণতি হল মর্মান্তিক। যুবকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) হোগলবেড়িয়া।
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগে। হোগলবেড়িয়ার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক নাবালিকা এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। দুজনের প্রেম কাহিনী প্রকাশ্যে আসতেই ছাত্রীর বাবা বাবলু মণ্ডল ছেলেটির বাড়িতে আত্মীয়দের পাঠায়। তাঁর মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেন। সাময়িক সব মিটেও যায়। কয়েকদিন আগে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল সে। অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার বিকেলে গোপালপুরঘাটে এক শিক্ষকের কাছে পড়তে যায় ওই নাবালিকা। এরপর আর সে ফেরেনি। পরে জানা যায়, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে সে। ঘটনাটি পুলিশকে জানায় মেয়েটির পরিবার। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজির পরও যুগলকে পায়নি। তবে পুলিশের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রেমিকাকে নিয়ে থানায় হাজির হয় ওই যুবক।
[আরও পড়ুন: ১৩০০ বছরের প্রাচীন দেবীমূর্তি পেয়েও রাখতে নারাজ পূর্ব বর্ধমানের ঘোষ পরিবার, কেন জানেন?]
দু’পক্ষ সাময়িকভাবে সমস্যা মেটালেও রাতে ওই যুবকের বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে নাবালিকার বাবা ও আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাবালিকার প্রেমিকের কথায়, “মঙ্গলবার প্রেমিকা ফোন করে ডাকায় না গিয়ে থাকতে পারিনি। পালাতে বাধ্য হই। তারপর আমার পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচারের কথা জানা মাত্রই ওকে নিয়ে থানায় যাই। পরে আলোচনার মাধ্যমে সব মিটেও যায়। এর পর রাতে বারোটা নাগাদ ওদের পরিবারের লোকেরা আগুন লাগিয়ে দেয় আমাদের ঘরে।” আগুন লাগার ঘটনার পিছনে তাঁদের হাত নেই বলেই দাবি বাবলু মণ্ডলের আত্মীয়দের। এবিষয়ে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপার ঈশানী পাল বলেন, “এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”