দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: দিল্লি কাণ্ডের ছায়া এবার বারুইপুরে (Baruipur)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে খুনের পর টুকরো করা হল প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহ। পুকুরে মিলেছে তাঁর দেহাংশ। প্লাস্টিকে মোড়া ছিল তাঁর মুখ। কী কারণে এই নৃশংসতা? পিছনে কে বা কারা রয়েছেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম উজ্জ্বল চক্রবর্তী। প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী তিনি। একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। থাকতেন বারুইপুরে। ১৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন উজ্জ্বলবাবু। তারপর আর ফেরেননি। একাধিক জায়গায় খোঁজ করলেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁর হদিশ মেলেনি। বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যরা বারুইপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: আদালত অবমাননার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা]
বৃহস্পতিবার রাতে বারুইপুর-মল্লিকপুর রোডের ডিহি এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হল প্রাক্তন ওই নৌসেনা কর্মীর দেহাংশ। পুলিশ সূত্রে খবর, উজ্জ্বলবাবুর মুখ প্লাস্টিকে ঢাকা দেওয়া ছিল। দুটি হাত ও দেহের নিম্নাংশের হদিশ মেলেনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ টুকরো করে আততায়ীরা। এরপর আলাদা জায়গায় ফেলে। কিন্তু গোটা ঘটনার নেপথ্যে কে? কেন খুন করা হল ওই ব্যক্তিকে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে পরিবার ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকারই এক পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন আগে অশান্তি হয়েছিল উজ্জ্বলবাবুর। যদিও তার সঙ্গে খুনের যোগ রয়েছে কি না, তা এখনও অজানা। তবে দ্রুতই গোটা ঘটনার রহস্যভেদ হবে বলে আশাবাদী পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহাংশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার কিনারা করতে মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।