নন্দন দত্ত, সিউড়ি: উত্তরপাড়ার পর বীরভূম। ফের খুন বাবা। হত্যাকারী হিসাবে চিহ্নিত সন্তানই। এবার নিজের বাড়িতেই ‘খুন’ হলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী। শুক্রবার গভীর রাতে ওই ব্যক্তিকে তাঁর ছেলে খুন (Murder) করেছে বলে অভিযোগ। গয়না নিয়ে বিবাদের জেরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ওই ব্যক্তির প্রাণহানি হয়েছে বলেই খবর। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত যুবক। তাঁর ছেলের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
নিহত বছর তিপ্পান্নর সাবির আলি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। বীরভূমের মল্লারপুরের হাজিপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তিন ছেলে এবং স্ত্রী রয়েছে তাঁর। বড় ছেলে কর্মসূত্রে বাড়ি ছেড়ে দূরে থাকেন। মেজো এবং ছোট ছেলে একসঙ্গেই বসবাস করেন। দিনকয়েক আগে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীর মেজো ছেলে আবু তাহের আলি দাবি করেন তাঁর সোনার গয়না চুরি গিয়েছে। অভিযোগ, তাঁর ছোট ভাই চুরি করেছে। মল্লারপুর থানায় অভিযোগ দায়েরও করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: International Men’s Day: ‘এই গ্রহের সবচেয়ে বিস্ময়কর মানুষকে…’, শোভনকে বিশেষ বার্তা বৈশাখীর]
শুক্রবার রাতে বাড়িতে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে কথাবার্তা চলাকালীন দুই ভাই বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, ছোট ভাই সাহাবুদ্দিন আলি তার দাদাকে মারধর করতে শুরু করে। তাতেই বাধা দেন সাবির আলি নামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী। অভিযোগ, সেই সময় ওই ব্যক্তির হাতে ভোজালি দিয়ে আঘাত করে তার ছোট ছেলে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীর যুবক। মল্লারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও গ্রেপ্তার হয়নি অভিযোগ। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে হুগলির উত্তরপাড়াতেও বাবাকে খুনের অভিযোগ ওঠে। নাম জড়ায় নিহতের মেয়ের। ঘটনার পর থেকে ঘরছাড়া হওয়ায় সন্দেহের তালিকায় মৃতের নাতিও। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ছেলের হাতে ‘খুন’ বাবা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব পরিজনেরা।