চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: ধারের টাকা আদায় করতে গিয়ে প্রাণহানি। ভরতপুরে ব্যক্তির বস্তবন্দি দেহ উদ্ধার। এই ঘটনার পালটা হিসাবে আরও একজনকে অন্য গ্রাম থেকে তুলে এনে মারধরের অভিযোগ। সবমিলিয়ে মুর্শিদাবাদে গুন্দোরিয়া গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল।
মৃত দীনবন্ধু পাল, মুর্শিদাবাদের গুন্দোরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পঞ্চান্ন বছর বয়সি দীনবন্ধু বেশ কয়েকদিন আগে হামিদপুরের এক বাসিন্দাকে টাকা ধার দেন। শনিবার সকালে বকেয়া টাকা চাইতে হামিদপুর গ্রামে যান দীনবন্ধু। পরিবারের দাবি, তার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ পর হামিদপুরে দীনবন্ধুর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বকেয়া টাকা চাইতে গেলে সম্ভবত বচসা হয়। আর সে কারণেই খুন হন দীনবন্ধু।
[আরও পড়ুন: ‘এর পরে কী’, রোহিতকে প্রশ্ন বাউচারের, জবাবে হিটম্যান বললেন…]
পুলিশ দীনবন্ধুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এদিকে, এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। হামিদপুর গ্রামে হানা দেন তাঁরা। যাঁর কাছে বকেয়া টাকা চাইতে গিয়েছিলেন দীনবন্ধু, তাঁকে তুলে আমা হয়। গুন্দোরিয়া গ্রামে নিয়ে এসে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই ব্যক্তিকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করা হয়। গুরুতর জখম তিনি। তাঁকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভরতপুর থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তবে এখনও পর্যন্ত খুন কিংবা মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।